পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা। আজ বহুবৎসরের কল্পনা ও সাধনার কতক ফল প্রকাশিত হইল। ঠিক বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে আমি এক সময়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্ত্রের সর্বজাতীয় পুস্তকগুলি বিশেষ ভাবে অধ্যয়ন করি। কিন্তু তন্নধ্যে বঙ্গদর্শনের বাঙ্গালার ইতিহাস সম্বন্ধীয় প্রবন্ধগুলি যে ভাবে আমার মৰ্ম্মস্থল ভেদ করিয়াছিল, তেমন আর কিছুই নহে। ঐ জাতীয় একটি প্রবন্ধের এক স্থানে আছে –“বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। কে লিখিবে? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব, সকলেই লিখিবে। যে বাঙ্গালী, তাহাকেই লিখিতে হইবে। ম৷ যদি মরিয়া যান, তবে মা'র গল্প করিতে আনন্দ! আর এই আমাদের সর্ম সাধারণের ম৷ জন্মভূমি বাঙ্গালী দেশ, ইহার গল্প করিতে কি আমাদের আনন্দ নাই ? আইস, আমরা সকলে মিলিয়া বাঙ্গালার ইতিহাসের অনুসন্ধান করি।” সেই উদ্দীপনায় যে ভাবে আমার হৃদয়তন্ত্রী বাজিয়াছিল, ভাষায় তাহ প্রকাশ করিতে পারি না। আমি প্রতিজ্ঞা করিলাম, আমার যদি কিছু শক্তি থাকে, তাছা বাঙ্গালার ইতিহাস-সঙ্কলনের সাধনায় ব্যয়িত করিব। কিন্তু আমাকে উৎসাহ দিবার বা সাহায্য করিবার কাহাকেও খুজিয়া পাইলাম না। কিছুদিননানাস্থানে ঘুরিতে লাগিলাম ; ক্রমে বঙ্গদেশ ও ভারবর্ষের স্কুলপাঠ্য ইতিহাস প্রকাশ করিলাম। তৃপ্তি সাধিত হইল না। অবশেষে দৌলতপুর কলেজের গুরুতর কার্ষ্যে যোগদান করি, তাহার সর্বাঙ্গীণ উন্নতির চেষ্টায়, এবং ইতিহাসের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনায় জীবন উৎসর্গ করিলাম। স্বদেশীয় মাগণের ধারাবাহিক জীবন তিনিধিৰ সংকর করি তার একখানি পুস্তক প্রকাশ করিলাম ; কিন্তু অন্ত কেছ লে গ্রস্তাবে আমার সহযোগী হইলেন না। তখন আমি শোর-খুদার কিছু কিছু ঐতিহাসিক তথ্য নানাঙ্কাৰ