পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।—সুন্দরবন। বঙ্গদেশের দক্ষিণ সীমায় অবস্থিত সমূদ্র কৃলবর্তী জঙ্গলাকীর্ণ ভূভাগকে সুন্দরবন বলে। নিম্নবঙ্গে যেখানে গঙ্গা বহুশাখা বিস্তার করিয়া, সাগরে আত্মবিসর্জন করিয়াছেন, প্রাচীন সমতটের দক্ষিণাংশে অবস্থিত সেই লবণাক্ত পল্লময় অসংখ্যবৃক্ষগুল্ম সমাচ্ছাদিত শ্বাপদ সম্বুল চরভাগ সুন্দরবন বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হয়। ইহা পশ্চিমে ভাগীরথীর মোহান হইতে পূৰ্ব্বে মেঘনার মোহানা পর্যন্ত বিস্তৃত। কেহ কেহ মেঘনার মোহানার ও পূৰ্ব্বে অর্থাৎ নোয়াখালি, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলার এবং হাতিয়া, সন্দ্বীপ প্রভৃতি দ্বীপের দক্ষিণভাগে অবস্থিত বনভাগকেও সুন্দরবনের অন্তর্গত মনে করেন। প্রকৃত পক্ষে গঙ্গা ও মেঘনার অন্তৰ্ব্বত্তী ভূভাগই সুন্দরবন। ইহা বৰ্ত্তমানকালে চব্বিশ পরগণ, খুলনা এবং বাখরগঞ্জ এই তিনটি জেলার অন্তর্গত এবং এই তিনটি জেলার যে অংশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের স্বত্বাধীন, তাহার দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত। পূৰ্ব্বপশ্চিমে মুন্দরবনের দৈর্ঘ্য ১৬০ মাইল, এবং উত্তর দক্ষিণে ইহার প্রস্থ পশ্চিমদিকে ৭০ মাইল হইতে পূৰ্ব্বদিকে ৩০ মাইলের অধিক হইবে না। গড়ে বিস্তৃতি ৫০ মাইল ধরিলে, মুন্দরবনের পরিমাণফল ৮০০০ বর্গমাইল হয়। তন্মধ্যে খুলনা জেলার মধ্যে ২৬৮৮ বর্গমাইল ; তাহারও ৫০০ বর্গমাইল জলভাগ। পশ্চিমে ভাগীরথী হইতে কালিন্দী নদী পর্যন্ত চব্বিশ পরগণা, কালিন্দী হইতে মধুমতী নদী পর্যন্ত খুলনা জেলা এবং মধুমতী হইতে মেঘনার মোহানা পর্যন্ত বরিশাল জেলার অন্তর্গত। সুন্দরবনের নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে বহু মত আছে। সুন্দর বনে সুন্দরী (Heritiera minor) =fT CF EFTA বৃক্ষ বহু পরিমাণে দেখা যায়। ইহার কাঠ দেখিতে পরিষ্কার লাল বর্ণ, তজ্জন্ত মুন্দর। এই নিমিত্ত ইহাকে মুন্দরী বা মুনীর বৃক্ষ বলে। এই বৃক্ষের আধিক্য বশতই বনভাগের নাম স্বদলীবন বা স্কলরবন হইয়াছে। নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে ইহাই সাধারণ §