পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যাঁদের দেখেছি

 তিনি বললেন, ‘ইচ্ছা তো আছে, কিন্তু সুযোগ কই?’

 এরই দিন কয় পরে মিনার্ভা থিয়েটারের স্বত্বাধিকারী স্বর্গীয় উপেন্দ্রনাথ মিত্র ও অধ্যক্ষ স্বর্গীয় সতীশচন্দ্র রায় আমার বাড়ীতে এসে উপস্থিত হলেন। উপেন্দ্রবাবু বললেন, ‘শিশিরবাবু এসে আমাদের বাজার মাটি ক’রে দিয়েছেন। সেইজন্যে আপনার সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি।’

 সতীশবাবু বললেন, ‘আমরা বেশ বুঝতে পারছি, কেবল পুরানো দলের লোক নিয়ে থিয়েটার আর চলবে না। আমরাও শিশিরবাবুর মত কোন শিক্ষিত নূতন অভিনেতা চাই। বাজারে নরেশচন্দ্র মিত্রের খুব নাম-ডাক শুনতে পাই। তিনি যদি আমাদের থিয়েটারে যোগ দেন, তাহ’লে আমরাও শিশিরবাবুর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি। এ বিষয়ে আপনি কিছু সাহায্য করবেন?’

 আমি বললুম, ‘চেষ্টা ক’রে দেখতে পারি।’

 তখনও নরেশচন্দ্রের সঙ্গে আমার আলাপ পরিচয় হয় নি। কিন্তু ইতিমধ্যে রাধিকানন্দের সঙ্গে আরো দুই-তিনবার দেখা হয়েছে এবং তাঁরই মুখে শুনেছি তিনি শিশিরকুমার ও নরেশচন্দ্রকে ঘনিষ্ঠভাবেই চেনেন। মিনার্ভা থিয়েটারের প্রস্তাব নিয়ে আমি তাঁরই কাছে গেলুম এবং সব শুনে তিনি বললেন, ‘আমি নরেশকে মিনার্ভা থিয়েটারে নিয়ে যেতে পারি, কিন্তু সেইসঙ্গে আমিও ওখানে নামতে চাই।’

 কিন্তু মিনার্ভার কর্তৃপক্ষের কাছে রাধিকানন্দ ছিলেন তখন Dark horse-এর মত। প্রথমটা তাঁরা ইতস্ততঃ করতে লাগলেন। তারপর আমি যখন বললুম, ‘শিশিরবাবুর মুখে শুনেছি, রাধিকানন্দ একজন ভালো অভিনেতা’, তখন তাঁরা আর অমত করলেন না।

 মিনার্ভায় এলেন নরেশচন্দ্র ও রাধিকানন্দ। তাঁদের মঞ্চস্থ

১৭৪