পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যাঁদের দেখেছি

না হয়ে পারলুম না। যথাসময়ে “নিবেদিতা” মঞ্চস্থ হ’ল এবং প্রত্যেক নট-নটীই আপন আপন ভূমিকার মর্যাদা রক্ষা করলেন। অভিনয়ের এবং প্রয়োগনৈপুণ্যের দিক দিয়ে নাট্যরসিকদের কাছ থেকে প্রভূত প্রশংসা লাভ করেছিল ঐ নাট্যাভিনয়। এর পরেও একাধিক রঙ্গালয়ে আমি রাধিকানন্দকে অভিনয় শিক্ষা দিতে দেখেছি। নবযুগে অভিনয়শিক্ষকরূপে আমি শিশিরকুমারের পরেই তাঁর স্থান নির্দেশ করতে পারি। এ বড় অল্প সুখ্যাতির কথা নয়।

 রাধিকানন্দ ছিলেন আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রায়ই এসে আমার সঙ্গে দেখা করতেন। একদিন বাড়ীর একতলা থেকে শোনা গেল রাধিকানন্দের কণ্ঠস্বর। নীচে নেমে দেখি, তিনি আমার মধ্যমকন্যা শেফালিকার কাঁধে মাথা রেখে ক্রন্দন করছেন।

 সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলুম, ‘ব্যাপার কি রাধিকা?’

 তিনি সাশ্রুনেত্রে কাতর কণ্ঠে বললেন, ‘ভাই হেমেন্দ্র, আমি আর বাঁচব না। আমার মুখে ক্যান্সার হয়েছে।’

 কিছুদিন পরেই পেলুম রাধিকানন্দের মৃত্যুসংবাদ। নাট্যজগতে আর কেউ এখনো তাঁর অভাব পূরণ করতে পারেন নি।

১৭৯