পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চব্বিশ

 বোধ করি ১৩১৯ সালের কথা। নব পর্যায়ে “জাহ্নবী” পুনঃপ্রকাশিত হচ্ছে এবং তার কার্যালয়ে প্রত্যহই বসে আমাদের একটি সাহিত্য-বৈঠক। সেখানে যাঁরা ওঠা বসা করতেন তাঁদের অনেকেই আজ সুপরিচিত ব্যক্তি। যেমন শ্রীঅমল হোম (সরকারের প্রধান প্রচার-সচিব), শ্রীপ্রেমাঙ্কুর আতর্থী (সাহিত্যিক ও চিত্রপরিচালক), শ্রীপ্রভাত গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনালুপ্ত দৈনিক “ভারত” সম্পাদক), শ্রীসুধীরচন্দ্র সরকার (পুস্তক-প্রকাশক ও “মৌচাক” সম্পাদক) এবং শ্রীচারুচন্দ্র রায় (চিত্রশিল্পী ও চিত্র-পরিচালক) প্রভৃতি।

 “যমুনা” নামে একখানি প্রায় নগণ্য ছোট মাসিক কাগজ প্রকাশিত হ’ত। তার সম্পাদক ছিলেন স্বর্গীয় ফণীন্দ্রনাথ পাল, তখন লেখকরূপে তাঁর কোন খ্যাতিই ছিল না। প্রভাত এসে একদিন বললেন, ‘“যমুনা”য় ‘রামের সুমতি’ নামে একটি আশ্চর্য গল্প বেরিয়েছে, তেমন গল্প আমি আর কখনো পড়ি নি।’

 জিজ্ঞাসা করলুম, ‘লেখক কে?’ ভাবলুম, নিশ্চয়ই কোন বিখ্যাত লেখকের নাম শুনব।

 কিন্তু প্রভাত বললেন, ‘শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।’

 একেবারে অপরিচিত নাম। গল্পটি সম্বন্ধে প্রভাতের মতামত আমলে আনলুম না, কারণ তা অত্যুক্তি ব’লেই মনে হ’ল। তবু গল্পটি নিয়ে পড়তে বসলুম এবং পড়তে পড়তে অভাবিত বিস্ময়ে মন পরিপূর্ণ হয়ে উঠল। বাংলা ভাষায় সত্য সত্যই সে শ্রেণীর

১৮০