পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সাত

 আপনি কি শিস্ দেওয়া পছন্দ করেন? প্রশ্নটি এতই তুচ্ছ যে অনেকেই হয়তো উত্তর দেওয়াও আবশ্যক মনে করবেন না। অনেকে হয়তো স্পষ্ট ভাষায় বলবেন— ‘না, নিশ্চয়ই করি না। ওটা হচ্ছে পাড়ার বখাটে ছোঁড়াদের নিজস্ব।’ আবার অনেকে হয়তো মুখে কিছুই না ব’লে মনে মনে বলবেন— ‘তা শিস্ দেওয়াটা খুব উল্লেখযোগ্য কাজ না হলেও মানুষের উঠতি বয়সে ওটা নিয়ে, খানিকটা সময় মন্দ কাটে না বটে!’ এবং এটা আমরা সকলেই জানি, বহুক্ষেত্রেই শিস্ দিলে শিষ্টতার পরিচয় দেওয়া হয় না। একটি দৃষ্টান্ত এই, গুরুজনের সামনে ব’সে শিস্ দিলে তাঁদের দ্বিতীয় রিপু প্রবল হয়ে উঠতে পারে। সময়ে সময়ে শিস্ হচ্ছে বিপদজনক। আদালতে গিয়ে শিস্ দিলে আপনার হবে জরিমানা।

 কিন্তু শিস্ যে মর্যাদাকর হ’তে পারে, এটা আপনারা বিশ্বাস করেন কি? খালি মর্যাদাকর নয়, সাধনায় অবহিত হ’লে শিস্‌কেও আর্টের স্তরে উন্নীত করতে পারা যায়। আমেরিকায় থাকেন এক ভদ্রলোক, তাঁর নাম ফ্রেড ক্রোলি। তিনি অন্ধ। শিস্ দেওয়ার আর্টে তিনি এমনি পরিপক্ক যে, সর্বত্রই তাঁর অসামান্য খাতির। রেডিয়ো, টেলি-ভিসন ও গ্রামোফোন রেকর্ডের সাহায্যে মাত্র এই শিস্‌কে অবলম্বন ক’রেই তিনি হয়েছেন বিপুল বিত্তের মালিক। আশ্চর্য তাঁর জনপ্রিয়তা। কেবল তাঁর শিস্ শোনবার জন্যেই অসংখ্য লোক তাঁকে বায়না দেয়।

 প্যাডেরিউস্কির নাম আপনাদের জানা থাকতে পারে। তিনি

৫৭