পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সূত্রপাত

 ঊনবিংশ শতাব্দী হচ্ছে বাংলার পক্ষে এক অসাধারণ শতাব্দী। ঐ শতাব্দীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে-সব মহতী প্রতিভা বিকশিত হয়ে সমগ্র ভারতে অতুলনীয় আদর্শ সৃষ্টি করেছিল তার জন্যে বাঙালী চিরদিনই গর্ব-গৌরব অনুভব করতে পারবে।

 সাহিত্যে মাইকেল, দীনবন্ধু, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র; চিত্রকলায় অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ ও নন্দলাল; অভিনয়ে গিরিশচন্দ্র, অর্ধেন্দুশেখর ও শিশিরকুমার; দর্শনে ব্রজেন্দ্রলাল শীল; বিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসু; রসায়নে প্রফুল্লচন্দ্র রায়; রাজনীতিতে সুরেন্দ্রনাথ, চিত্তরঞ্জন ও সুভাষচন্দ্র এবং ধর্মের ক্ষেত্রে শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ ও ঋষি অরবিন্দ; এক শতাব্দীর মধ্যে এতগুলি বিস্ময়কর প্রতিভার আবির্ভাব যে কোন দেশ বা জাতির পক্ষে পরম সৌভাগ্যের কথা।

 বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে গত শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ ক’রে আরো যে-সব অসামান্য ব্যক্তি নিজেদের স্মরণীয় অবদান রেখে গিয়েছেন, তাঁদের তুলনাও সমসাময়িক ভারতের অন্যান্য প্রদেশ খুঁজলে পাওয়া যাবে না। যেমন হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, বিহারীলাল চক্রবর্তী, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমার বড়াল, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, যতীন্দ্রমোহন বাগচী, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, কামিনী রায় ও স্বর্ণকুমারী দেবী প্রভৃতি। মুসলমান কবি নজরুল ইসলামও জন্মগ্রহণ করেছিলেন