পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ob" भांडवढ्या দাড়াইলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম তোর মামার বাড়ী যাস নে কেন, শুনেচি তাদের না কি বেশ অবস্থা ভালো ? --ভালো তো, কিন্তু তারা আমায় দেখতে পারে না । সেবার বসিরহাটে আমাদের দলের গাওনা ছিল তো, ওখান থেকে মামার বাড়ী গেলুম। বড় মামা বল্লে-এখানে কি জন্যে এলি ? দিদিমা বল্লো-যাকে নিয়ে সম্বন্ধ, সে-ই যখন চলে গিয়েছে তখন তোর সঙ্গে আর সুবাদ কিসেব ? তুই আর এখানে আসিস নে । সেই থেকে আর যাই নে । একটা খাবারের দোকানে বসাইয়া বন্দিনাগকে কিছু খাওয়াইলাম। সে যেরূপ গোগ্ৰাসে খাইতে লাগিল, তাহাতে বুঝিলাম কয়েকদিন তাহার অদৃষ্ট আহার জোটে নাই বোধ হয়। মনে কষ্ট হইল-ছোড়াটার নিতান্ত অদৃষ্ট মন্দ, এই বৃষ্টিবর্ষায় ছেড়া কাপড পরিয়া খালি পেটে আশ্রয় অভাবে আজ দিল্লী, কাল বেনারস করিয়া রেলে রেলে বেড়াইতেছে, দূর দূর করিয়া শেয়াল-কুকুরের মত সবাই তাড়াইয়া দিতেছে, এমন কি নিজের বাবা পৰ্য্যন্ত ! বেচারি। তবে যায় কোথায ? বলিলেই তো হইল না । ভাবিয়া চিন্তিয়া বলিলাম—এক কাজ কর বোদে, তুই রাঘাঘাটে আমার বাসায় গিয়ে থােক। চল আমি তোকে টিকিট কেটে গাড়ীতে উঠিয়ে দিচ্ছিসেখানে বাড়ীর ছেলের মতন থাকবি, কোন কষ্ট হবে না, চল । টিকিট কিনিয়া গাড়ীতে উঠাইয়া দিয়া ব্যদিনাথের হাতে আন দুই পয়সা দিয়া বলিলাম-পথে যদি দরকার হয় রৈল তোর কাছে । শনিবার রাণাঘাটে গিয়া দেখিলাম বন্দিনাথ বাড়ীতে মেয়েদের কাছে খুব আদর-যত্ন পাইতেছে । কাপড়-জামা মেয়ের সাবান দিয়া কাচিয়া দিয়াছে,