পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by যুগান্তর তাহার চেতনার সঞ্চার হইয়াছে ; সে চক্ষু খুলিয়া চাহিয়াছে ; কিন্তু কথা কহিতে পারিতেছে না। দেখিয়া জমিদার বাবুর দেহে প্ৰাণ আসিল । তৎক্ষণাৎ তাহাকে পালকীতে তুলিয়া গৃহে লইয়া যাওয়া হইল ; এবং একঘণ্টা অতিবাহিত হইতে না হইতেই ডাক্তার ও ঔষধের সাহায্যে জহরলাল উঠিয়া বসিল ও কথা কহিতে আরম্ভ করিল। কিন্তু কে যে তাহাকে ‘প্ৰহার করিয়াছে, তাহার কিছুই বলিতে পারিল না । এই মাত্ৰ বলিল, সে একাকী আসিতেছিল, হঠাৎ কয়েকজন লোক দৌড়িয়া আসিয়া তাহার গলে বস্ত্ৰ দিয়া ও মুখে কাপড় বাধিয়া 'প্ৰহার করিতে আরম্ভ করিল । সে তাহদের হাত হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্য চেষ্টা করাতে, গলার কাপড় এমন করিয়া কষিয়া ধরিল, যে সে অজ্ঞান হইয়া পড়িল ; এই মাত্র তাহার স্মরণ আছে, আর অধিক মনে নাই । ডাক্তার বাবু পরীক্ষা করিয়া বলিলেন, কোনও অঙ্গের কোন ও গুরুতর হানি হয় নাই । দুই তিন দিন পরেই কলিকাতা যাত্রা করা যাইবে। তখন জমিদার বাবু অনেকটা নিশ্চিন্ত হইলেন ; এবং স্বীয় শয়ন গৃহে গিয়া কে এ প্রকার কাজ করিলা তাহা চিন্তা করিতে লাগিলেন। একবার ভাবিলেন, কৈলাস চক্ৰবৰ্ত্তীর কাজ ; আবার স্মরণ হইল, সে ব্ৰাহ্মণ সপরিবারে তীর্থযাত্ৰা করিয়াছে। আবার ভাবিলেন, তাহার পুত্রের কাজ, পুনরায় মনে করিলেন, ইহা একাকী তাহার কৰ্ম্ম নহে, দলে অন্য লোক নিশ্চয়ই আছে । শেষে স্থির করলেন, আর কাহারও কাজ নহে, ঐ বিশ্বনাথ তর্কভূষণের কাজ। ব্ৰাহ্মণ বড়ই গৰ্ব্বিত, কোমরে টাকার জোর ও আছে, বাড়ীতে যমদূতের মত কতকগুলো ছাত্রও আছে, সেই ব্ৰাহ্মণই নিজের পুত্র ও ছাত্রদিগের দ্বারা এই কাজ করিয়াছে। আচ্ছ, বিবাহটী হয়ে যাক, একবার দেখবাে কত ধানে কত চাউল! ঐ ভিািটতে ঘুঘু না চরাই ত আমার নাম রামহরি মিত্র নয়। এইরূপ ভাবিতে