পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ S8 যাবে ?” এইরূপ পাঁচ সাত প্ৰকার চিন্তাতে তাহার প্রথম চিন্তাটা চাপা পড়িয়া গেল। তিনি সম্পূর্ণ কৰ্ত্তব্য নিদ্ধারণ করিতে না করিতে, যুবকদল তঁহাকে ঠেলিয়া বসাইয়া, তঁাহার হাতে পাখোয়াজ দিয়া আরম্ভ कद्राशेम्न लिछ । হরচন্দ্ৰ প্ৰথম প্রথম লজ্জাতে একটু সংকোচের সহিত বাজাইতে লাগিলেন ; কিন্তু অবশেষে নারীকণ্ঠের তানলয় শুদ্ধ হিন্দী সঙ্গীত, ও সভাস্থগণের আনন্দসূচক সাধুবাদ যখন আসরকে জমাইয়া তুলিল, তখন তিনি আত্মহারা হইয়া সেই সুধা-হ্রদে মগ্ন হইয়া গেলেন। বাইগণ তঁহার বিদ্যার দৌড় দেখিবার জন্য আপনাদের বিদ্যা সাধ্য ব্যয় করিতে ক্রটা করিল না , কিন্তু হরচন্দ্ৰ সমুদায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া চারিদিক হইতে শত ধন্যবাদ প্ৰাপ্ত হইলেন । সকলেই জিজ্ঞাসা করতে লাগিল, মানুষটা কে ? সঙ্গীদের অনেকে হরচন্দ্রের ভাব জানিত ; তাহারা কেবলমাত্র বলি, “আমাদের গ্রামের একটী লোক।” কিন্তু চিমু ঘোষ অসাবধানতাবশতঃই হউক, আর তর্কভূষণ মহাশয়কে অপমানিত করিবার উদ্দেশ্যেই হউক, বলিল, “নশিপুর গ্রামের সুপ্ৰসিদ্ধ বিশ্বনাথ তর্কভূষণের চতুর্থ পুত্র। উহার নাম হরচন্দ্র।” যাঃ ! সৰ্ব্বনাশ হইয়া গেল ; হরচন্দ্ৰ যে ভয় করিয়াছিল, তাহাই বুঝি ঘটিল ৷ একথা বুঝি নশিপুরে চলিল। সভা ভাঙ্গিয়া গেলে হরচন্দ্ৰকে दिाg 6नाथभ्रा क्रुश्द्रव्ाण दणिा, “जूभि 6षभन পাগল, একথা আবার নশিপুরে বলতে গেল কে ?” কিন্তু কিছুতেই হর্ষচন্দ্রের মুখ প্ৰসন্ন হইল না। তাহার যেন মনে হইতে লাগিল, যে, দেশ ব্যাপিয়া যে পিতার যশ, তাহাকে আজ তিনি লোকসমাজে হীন করিয়া গেলেন। সে দিন রাত্ৰি অনুতাপযন্ত্রণায় তাহার নিদ্রা হইল না । শয্যাতে পাশ্ব পরিবর্তন করিয়া রাত্রি কাটাইলেন। অনুতাপের মুহূৰ্ত্তে কত কথাই