পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ २8१ বাবু, বাবা কাকে ধরে এনে মারছেন।” শুনিবা মাত্র নবীনচন্দ্ৰ ব্যস্ত সমস্ত হইয়া দৌড়িয়া বাহির বাড়ীতে গেলেন। গিয়াই দেখেন, তাহার জ্যেষ্ঠ সহোদর আপাস হইতে ফিরিবার সময় একজন লোককে রাস্তা হইতে ধরিয়া বাড়ীর মধ্যে পুরিয়াছেন ; এবং দ্বার বন্ধ করিয়া দিয়৷ তাহাকে প্ৰহার করিতেছেন। তঁহাদের ভৃত্যুটী। ঐ ব্যক্তির হস্ত দুখানি পুষ্ঠের দিকে কাপড় দিয়া বাধিয়া ধরিয়া আছে, এবং তঁহার জ্যেষ্ঠ পদাঘাত, মুষ্ট্যিাঘাত, চড় চাপড় প্রভৃতি যথেচ্ছ মারিতেছেন ও গালাগালি দিয়া বলিতেছেন, “আর ভদ্রলোকের ছেলেকে অপমান করুবি ; বেটা পাজি ছোট লোক ৷” র্তাহার জ্যেষ্ঠের বাহির বাড়ীতে নীচের ঘরে দয়ালচাদ নামে তাহার জ্যেষ্টের আশ্রিত একটা লোক থাকে, সে ব্যক্তি অদূরে দাড়াইয়া আছে এবং বার বার বলিতেছে, “বাৰু আর মারবেন না, যথেষ্ট হয়েছে, ওর খুব শিক্ষা হয়েছে, ছেড়ে দিন,” কিন্তু সে ছাড়াইয়া দিবার চেষ্টা করতেছে না । নবীনচন্দ্ৰ একেবারে গিয়া উভয়ের মধ্যে পড়িলেন ; তাহার জ্যেষ্টের হাত ধরিয়া বাধা দিলেন ; বলিলেন, "দাদা করে কি, ব্যাপারটা কি, ও করেছে কি ?” তিনি যদি প্রতিবন্ধক হইলেন, ত পঞ্চ উপর হইতে দৌড়িয়া আসিলেন । তিনি এতক্ষণ এই ব্যাপার দেখতেছিলেন, অপরিচিত ব্যক্তি, কিছু বলিতে পারেন না, হঠাৎ বাধা দিতে পারেন না, কি করবেন ভাবিয়া কিছু স্থির করিতে পারিতেছিলেন না। নবীনচন্দ্ৰ তাহার জ্যেষ্ঠকে ধরিয়া বাড়ীর মধ্যে লইয়া গেলেন ; এবং পষ্ণু সেই ব্যক্তির হস্তের বন্ধন উন্মোচন করিয়া দ্বার খুলীয় তাহাকে বাড়ীর বাহির করিয়া দিলেন । পরে কথাটা এই জানা গেল যে, সে একজন সামান্য দোকানদার, সুরেশচন্দ্ৰ যে ব্যবসায় আরম্ভ করিয়াছেন, তাহাতে ঐ ব্যক্তির সহিত কি কারবার হয়, সেই কারবারে সে। তঁহাকে