পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शूशास्त्रज्ञ ক্রমে সকলে একটু শান্তভােব ধারণ করিলে, সভার ভবিষ্যৎ কাৰ্য্যাদির বিষয়ে কথোপকথন আরম্ভ হইল। এমন সময়ে সুরেন্দ্রলাল গুপ্ত আসিয়া উপস্থিত। নবীন পূৰ্ব্বাবধিই “সুরেন এলো না কেন ?” বলিয়া বারবার জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, সকলেই বলিতেছিলেন তার একটু বিলম্ব হবে । সুরেন যখন আসিলেন তখন নবীন তাহার বিলম্বের কারণ বুঝিতে পারিলেন। অদ্যকার সভাতে নবীনচন্দ্রকে কিছু প্রীতির উপহার দেওয়া হইবে, সুরেন সেই যোগাড় করিতে গিয়াছিলেন। তিনি তাহা লইয়া উপস্থিত। একটি চমৎকার বাকুস আনিয়াছেন, যাহা দেখিলে উপরে একখানি পুস্তক বলিয়া বোধ হয়, অথচ তাহার মধ্যে দোয়াত, কলম, চিঠির কাগজ টাকা পয়সা প্ৰভৃতি সমুদায় রাখিবার বন্দোবস্ত আছে ও একটী সোণার ঘড়ি আছে। এ মূল্যবান বস্তুটির মূল্য এই যুবকদলের সকলে সানন্দে দিয়াছে। সুরেন বাকসটী লইয়া নবীনচন্দ্রের নিকটস্থ হইলে তিনি আসন হইতে উঠিয়া দাড়াইলেন ও হস্ত দ্বারা নিজের মুখ আদিরুণ করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন। সভ্যরা সকলে দণ্ডায়মান। সুরেন সকলের মুখপাত্ৰস্বরূপ নবীনের করে ধরিয়া বলিতে লাগিলেন, “প্ৰাণের ভাই ! তোমার গুণ আমরা ভুলিতে পারিব না ; তুমি আমাদের যে উপকার করিয়াছ, তাহার প্রতিশোধ জন্মেও হইবে না; আমরা তোমাকে এমন কিছুই দিতে পারি না, যাহা তোমার গুণের উপযুক্ত হয়; তথাপি এই সামান্য উপহার গ্ৰহণ কর । এইটা যখন ব্যবহার করিবে, তখন আমাদের কথা স্মরণ করিও।” সকলে চারিদিকে কঁাদিয়া উঠিলেন, এবং নবীনচন্দ্ৰও ভাবাবেগে কাপিতে লাগিলেন। একদিকে নবীনচন্দ্ৰ তীহার বন্ধুদিগের হস্ত হইতে প্রীতির উপহার প্রাপ্ত হইলেন ; অপর দিকে তাহার জ্যেষ্ঠতাত মহাশয় একটু সুস্থ হইয়াই একদিন তঁহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তিনি গেলে বলিলেন,