পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ واج নাই। কয়েকবার বলিয়াছেন—“ভাগ্যে তুমি ও তোমার বন্ধুরা ছিলে, তাই এ যাত্রা রক্ষা পেলাম, তুমি আমার কাছ আর ছেড় না।” এই সকল কথাতে নবীনচন্দ্রের চক্ষে জল আসিয়াছে; কিন্তু তিনি সে অশ্রু নিবারণ করিয়া রাখিয়াছেন । বসুজ মহাশয় রোগমুক্ত হইতে না হইতে পূজা অতীত হইয়া গেল। পূজার পরেই পূৰ্ব্বোক্ত সঙ্কল্পানুসারে নবরত্ন সভার সাম্বাৎসরিক প্রথম অধিবেশন উপস্থিত। সভ্যগণ সকলে সমবেত হইলে, নবীনচন্দ্ৰ যথাসময়ে সভাপতির আসন পরিগ্রগ করিয়া পধুকে একটা সঙ্গীত করিতে অনুরোধ করিলেন। সঙ্গীত শেষ হইলে নিজেই নিম্নলিখিত মৰ্ম্মে প্রাথনা করিলেন,-“হে করুণাময় বিধাতা, এত বৎসর একত্রে বাস করিয়া আমরা তোমার যে অপার করুণা সম্ভোগ করিয়াছি, সেজন্য তোমাকে অগণ্য ধন্যবাদ করি। আমাদের বিচ্ছেদের দিন সম্মুখে আসিতেছে। প্ৰাণ বিষাদে স্নান হইতেছে ; তোমার চরণে এই প্রার্থনা জানাইতেছি যে, এই বিচ্ছেদকালে যেন আমরা তোমারই করুণাকে আশ্রয় করিয়া থাকিতে পারি ; এবং সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বত্র আমাদের নিঃস্বার্থ জীবনের দ্বারা যেন তোমার পূজা করিতে পারি।” নবীনকে কেহ কখনও মুখ ফুটিয়া প্রার্থনা করিতে শুনে নাই ; সহস্ৰ অনুরোধ করিলেও তিনি তাহা করিতেন না। কেমন এক প্রকার লজ্জা হইত। আজ এই কয়েকটা কথা বলিতে অশ্রুতে মুখ ভাসিয়া যাইতে লাগিল, ও ভাবাবেশে কথা রোধ হইয়া আসিল ; আর অধিক বলিতে পারিলেন না। র্তাহার এই ভাব দর্শনে সে ক্ষেত্রে এক অপূৰ্ব ভাবের উদয় হইল। উপস্থিত সভ্যগণের অনেকেই কঁাদিতে লাগিলেন। পঞ্চ ভাবে বিভোর হইয়া আবার গান করিলেন ও নিজে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। সকলেই অনুভব করিলেন। DDBBB BBD LBLD DD gD DD DBDD EBBD SSS S