পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rve যুগান্তর তা সত্য ; প্ৰাচীনকালে রমণীদের বিদ্যাশিক্ষার রীতি ছিল বটে, আর ইহাও সত্য যে, এ বিষয়ে শাস্ত্ৰে নিষেধ নাই। আমার মনের কথাটা এই, যে প্ৰথাটা রহিত হয়েছে, এমন কি দরকার পড়েছে, যে নুতন ক’রে সে প্ৰথাটা চালাতে হবে ?” বিজয় । দরকার আছে বৈ কি ? আচ্ছা ভেবে দেখ দেখি, আমি পড়তে জানি ব’লে তুমি আমাকে রামায়ণ মহাভারত পড়ে বেীদের শোনাতে বলেছ। যে জন্য বলেছি তা আমি বুঝেছি ; আমার একটা কাজ বাড়ে ও বৌদেরও উপকার হয়। যদি বোরা পড়তে, পারতেন, রামায়ণ মহাভারত পড়ে কি উপকার পেতেন না ? বিদ্যাশিক্ষা করলে ত জ্ঞানলাভ করুবার উপায় হয় ; জ্ঞান কি পবিত্র বস্তু নয় ? কি পুরুষ কি স্ত্রীলোক সকলের পক্ষেই কি জ্ঞানলাভ করা দরকার নয় ? এ বিষয়ে তর্কভূষণ মহাশয় কখনও এত কথা ভাবেন নাই। রামায়ণ মহাভারত পড়ার কথাতেই তাহার চিত্তের সমক্ষে একটা নূতন চিন্তা আনিয়া দিল ; তিনি ক্ষণকাল নিস্তব্ধ হইয়া ভাবিতে লাগিলেন। ভাবিলেন, বিন্ধ্যবাসিনী যাহার কন্যা, সে ব্যক্তি স্ত্রীশিক্ষার বিষয়ে একজন উৎসাহী লোক ছিলেন ; বিজয়ারও সাধ কন্যাকে লেখাপড়া শেখায় ; এ অনুমতি না পাইলে হয়ত কলিকাতাতে চলিয়া যাইবে ; গিয়া সেই সকল স্বজাতি-ও-স্বধৰ্ম্ম-বিদ্বেষী লোকের সংস্রবে পড়িবে; যে ভয়ে । তাহাকে দূরে রাখিতে চাহিতেছি, তাঙ্গা পূর্ণমাত্রায় ঘটবে। ভাবিয়া চিন্তিয়া বলিলেন,-“আচ্ছা তুমি যদি ইচ্ছা কর ত তোমার মেয়েকে বিজয় । তবে কাল কি পরশু আমি । একবার কলিকাতায় যাই ; যদি এখানে থাকতে হয়, তবে আমার দেবীরদের অনুমতিক্রমেই থাকা উচিত। -