পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ একদিন বেলা তৃতীয় প্রহর গড়াইয়া যায় ; উঠানের রৌদ্র গোলার গায়ে উঠিতেছে, দাসীদ্বয়ের একজন গৃহ মাৰ্জনা করিতেছে, অপর জন জল বহিতেছে ; বিধবাদের একজন রোয়াকের এক পাশ্বে বসিয়া পদদ্বয় প্রসারিত করিয়া শলিতা পাকাইতেছেন ; গৃহিণীর আসর এখনও ভাঙ্গে নাই ; তিনি সম্মুখের রোয়াকে পা ছড়াইয়া বসিয়াছেন, একটী বধু মাথার চুল বাছিয়া দিতেছে, আর একজন স্থূল বৰ্ত্তল বাহুখানি নিজ কক্ষে লইয়া একটা ছোট ঝিনুকের দ্বারা ঘামাছি মারিতেছে ; জ্যেষ্ঠা বধু নিদ্রাভঙ্গে উঠিয় তাহার ঘরে। সৰ্ব্বকনিষ্ঠ সন্তানটিকে ক্রোড়ে লইয়া আদর করিতেছেন ; পার্শ্বের দাবাতে ছেলেরা পুতুল খেলিতেছে ; বিজয়ী তাহার ঘরে শয়ন করিয়া একাগ্ৰামনে নিজে রামায়ণ পাঠ করিতেছেন , ওদিকে বাহিরে কালীবাড়ীতে কথকতা বসিবার উপক্রম হাততেছে, ধৰ্ম্মানুরাগী বৃদ্ধ ও বৃদ্ধিাগণ এক একটা করিয়া কথকতার আসরে আগমন করিতেছেন ; কথক ঠাকুর বাহির বাড়ীর পশ্চিমের ঘরে মাধ্যাহিক। আহারের পর একম্বুম ঘুমাইয়া উঠিয়া মুখহস্তাদি প্রক্ষালন করিতেছেন ; এবং তর্কভূষণ মহাশয় আহারান্তে বিশ্রামের পর চণ্ডীমণ্ডপে গিয়া স্বস্থানে বসিয়াছেন ; এমন সময়ে গোবিন্দ একজন চাষী লোককে সঙ্গে করিয়া অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইল। ঐ ব্যক্তি তর্কভূষণ মহাশয়ের একজন প্ৰজা। সে দুইটী বড় মাছ, দুইটী মানকচু ও অপরাপর অনেক সামগ্ৰী উপঢৌকন স্বরূপ লইয়া আসিয়াছে। গৃহিণী। ডাকিয়া বলিলেন, “ভাড়ায়ী ঠাকুরুণ পড়া ছেড়ে ওঠ গো, তোমার ভাড়ারের জিনিষ এসেছে।” ইহা শুনিয়া বিজয়া বাহিরে আসিলেন এবং তাহাদিগকে সঙ্গে লইয়া DD DDBD BB BDBD DBD S SDDD DDDB EBBBB গোবিন্দ চলিয়া যায়, এমন সময় বিজয়া ডাকিলেন- “গোবিন্দ, শোন!”