পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮤ28 যুগান্তর গিরিশ। ঈশ্বর ও পরকাল কতদূর বিশ্বাসযোগ্য, তাহারি সম্বন্ধে বিচার আছে { বিজয়া। আমি ঠিক তাই চাই । ] গিরিশ । আচ্ছা, তবে এক দিন শুনে । বিজয় । আর একটা কথা আছে ; তোমাদের বাসাতে আমাদের গোবিন্দের একটু থাকবার জায়গা হয় না ? গিরিশ। জায়গার অভাব কি ? আমি ও পঞ্চ যে ঘরে থাকি, সে ঘরেও হতে পারে, অন্য ঘরেও হতে পারে । আর এত লোকের খাওয়া চলে, তার ও একমুটা ভাত হতে পারে। বিজয়া। তবে গোবিন্দকে সঙ্গে করে নিয়ে যাও না কেন ? তার বড় ইচ্ছা সংস্কৃত কলেজে পড়ে ; লজ্জাতে কাকেও কিছু বলতে পারে না। তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে দিতে পারলে একটা গরিব পরিবারকে রক্ষে করা হয় । গিরিশ ; গোবিন্দ ত বাড়ীর ছেলে, সি থাকবে তাতে আর কি ? তবে এ বিষয়ে একটু গোলযোগ ঘটেছে ; বাবা যে আর পরের ছেলে বাসাতে রাখতে চান এরূপ বোধ হয় না। বিজয় । কেন, কি গোলযোগ ঘটেছে ? গিরিশ। বাবা পঞ্চর প্রতি বড় চটেছেন ; চটে বলেছেন, “আর পরের ছেলে বাসাতে রাখবো না ; বঁধ কেটে লোণ জল আর নিজের ক্ষেতে আনবো না ?” বিজয়া। তোমার মাসতুতো ভাই পাণ্ডু ? সে ত ভাল ছেলে, সকলের মুখেই তার প্রশংসা শুনি, বড় কৰ্ত্তা তার উপরে এত চটুলেন কেন ? ( বিজয়ী বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতুষ্পপুলাদিগকে বড়কৰ্ত্তা, মেজকৰ্ত্ত, সেজকৰ্ত্তা প্ৰভৃতি শব্দে সম্বোধন করিয়া থাকেন। )