পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯ যোগতত্ত্ব-বারিধি । জানিলেই সমস্ত জানা যাইবে । মনস্তত্ত্ববিৎ_যোগিগণ মনোবুক্তিকে পাচভাগে বিভক্ত করিয়াছেন,—ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ । অর্থাৎ মাছবের মানস-ক্রিয়া বা মনোভি যত প্রকার্বেই থাকুক, ঐ পাচ প্রকার বৃত্তি হইতেই উদ্ভব । ক্ষিপ্ত বৃত্তি,—মনের অস্থিরতা বা চঞ্চলাবস্থার নাম ক্ষিপ্ত । মন এক বিষয়ে স্থির থাকে না,—এক বিষয় হইতে বিষয়ান্তরে,—বিষয়াস্তর হইতে আবার বিষয়াস্তরে প্রধাবিত হয়,— কোন বিষয়ে স্থির থাকে না—রামকে ভাবিতে ভাবিতে শু্যামের কথা মনে আসে,—ভ্যামের কথ। ভাবিতে ভাবিতে নদীর জলের কথা মনে আসে, নদীৱ জল ভাবিতে ভাবিতে নারায়ণগঞ্জের রস্তা, অমনি গোয়ালদের ইলিশ মৎস্ত – এমনই এটা, ছাড়িয়। ওটা, ওটা ছাড়িয়া সেটা এইরূপ চঞ্চল বা অস্থির অবস্থার নাম ক্ষিপ্ত । ঢ় এত্তি--মন যখন কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য ভুলিয়া কাম-ক্রোধাদির বশীভূত হয়, এবং নিদ্রাতগ্রাদির অধীন হয়, আলস্যাদি বিবিধ তমোময় বা অজ্ঞানময় অবস্থায় নিমগ্ন থাকে,—তখন তাহার নাম মূঢ়াবস্থা । বিক্ষিপ্ত বুত্তি, চিত্তের ক্ষিপ্ত অবস্থা আর বিক্ষিপ্ত অবস্থার প্রভেদ অতি সামান্ত । প্রভেদ এই যে, চিত্তের পূৰ্ব্বোক্ত চাঞ্চল্যের মধ্যে ও ক্ষণিক-স্থিরতা। অর্থাৎ মন চঞ্চল-স্বভাব হইলেও সে মধ্যে মধ্যে যে স্থির হয়,—সেই স্থির হওয়াকেই বিক্ষিপ্ত অবস্থ। বলা যায় । মন ককু বিষয়ে বিন্যস্ত হইতে হইতে একটি কোন প্রিয় বিষয় ভাবিয়া তাহাতে যে ক্ষণিক লিপ্ত হয়,-- স্থির হয়,—তাহাকেই বিক্ষিপ্ত অবস্থা বলা যায় । -একাগ্র-রক্তি,-- একাগ ও একতান উভয় শব্দ একই অর্থে প্রযুক্ত হয়। চিত্ত যখন কোন এক বাম্ববঙ্গ বা অস্তব স্তুতে অবলম্বিত হইয়া । নিৰ্ব্বাতস্থ নিশ্চল, নিষ্কম্প দীপশিখার স্তায় স্থির বা অবিকশিত