পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিবি । R ) { করিতে কোনরূপ আপত্তি হইতে পারে না । আর যেমন বন, বৃক্ষ হইতে কোনরূপ অতিরিক্ত পদার্থ নহে, সেইরূপ মায়াও অবিদ্যা বা অজ্ঞান হইতে কোনরূপ অতিরিক্ত পদার্থ নহে । প্রকৃতি, মায়া, অবিদ্যা ও অঙ্গল, এই চতুষ্টয়ই সাধারণতঃ একশৰ্থবাচক । শিষ্য । আরও এক বিপদ –কথাগুলা বড়ই জটিল । অজ্ঞানেরই বা স্বরূপ কি ? যাহা জ্ঞানের অতীত, তাহকে ইত অজ্ঞান বলে ? তুমি হইলে, অজ্ঞানের জ্ঞান কোথা হইতে অাসে ? গুরু । প্রশ্নটি সমীচীন বটে,—ভাল, আগে এই কথাটাই শোন । অজ্ঞানত্ত সদসদ্ধ্যামনিৰ্ব্বচনীয়ং, ত্রিগুণাত্মকং, জ্ঞানৰিরোধি, ভাব রূপং, যৎকিঞ্চিৎ ইতি বদস্তি । —বেদাস্তসার । অজ্ঞান, সৎ এবং অসৎ হইতে ভিন্ন, অনিৰ্ব্বচনীয় সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণাত্মক, জ্ঞানবিরোধি, ভাবরূপ, যাহা কিছু বলিয়া অভিহিত হয় । তাৎপৰ্য্য এই যে,– জুজু, অশ্বডিম্ব, আকাশকুসুম প্রভৃতি কতকগুলি কথা লোক-প্রচলিত থাকিলেও যেমন তাহাদিগের অস্তিত্ব কখনও উপলব্ধি করিতে পারা যায় না ; অতএব তাহাকে “অসৎ” নাই বলিয়া নিরূপণ করিতে হয় । অসৎ পদার্থও কখন কারণরূপে প্রমাণিত হইতে পারে না, অথবা অৰিদ্যা বা অজ্ঞানই জগতের অপদি কারণ ; অতএব তাহাকে “সৎ” আছে বলিয়া নিরূপণ করিতে হয় । পরস্পর বিরোধী এই দুই কারণে অর্থাৎ সৎ এবং অসৎ হইতে ভিন্ন অনিৰ্ব্বচনীয় স্বরূপ { k