পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । Rసె > অক্ষরাদি লইয়া মন্ত্রের সংজ্ঞাভেদ আছে, এবং ঐ রূপ সংজ্ঞাভেদে কার্য্যবিশেষে তাহীদের প্রয়োগ হইয়া থাকে। একাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা কৰ্ত্তরী, স্বাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা মূষল, পঞ্চাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা ক্রুর, ষড়ক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা শৃঙ্খল, সপ্তাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা ক্রকচ, অষ্টাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা শূল, নবাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা বজ্র, দশাক্ষর মন্ত্রের সংজ্ঞা শক্তি, একাদশাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা পরশু, দ্বাদশাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা চক্র, ত্রয়োদশাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা কুলিশ, চতুর্দশাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞ নারাচ, পঞ্চদশাক্ষর মন্ত্রের সংজ্ঞা ভূষুণ্ডী, এবং ষোড়শাক্ষর মস্ত্রের সংজ্ঞা পদ্ম জানিবে । যে যে কার্য্যে যে মন্ত্র প্রশস্ত বলিয়া মন্ত্রশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে, তাহ এই —মন্ত্রচ্ছেদে কৰ্ত্তরী মন্ত্র প্রশস্ত । এইরূপ ভেদকার্য্যে স্বচী, ভঞ্জনে মুদগর ক্ষোভণে মূষল, বন্ধনে শৃঙ্খল, ছেদনে ক্রকচ, ঘাতকার্য্যে শূল, স্তম্ভনে বজ্র, বন্ধনে শক্তি, বিদ্বেষে পরশু, সৰ্ব্বকার্য্যে চক্র, উন্মাদ করণে কুলিশ, সৈন্তভেদে নারাচ, মারণে ভূযুণ্ডী, এবং শান্তি-পুষ্ট্যাদি কৰ্ম্মে পদুমন্ত্র প্রশস্ত । এই সকল শাস্ত্যাদি কৰ্ম্ম বামাচার-বিরোধী, অর্থাৎ দক্ষিণাচারে উক্ত কার্য্য সকল করা কৰ্ত্তব্য । মন্ত্রশাস্ত্রমতে মন্ত্রের যোজনপল্লবাদি নির্ণয় কবিয়া কার্য্য করিতে হয় । তন্মতে,— পঞ্চাশদ্বর্ণরূপাত্মা মাতৃকা পরমেশ্বরী । তত্ৰোৎপন্ন মহাকুতা ত্ৰৈলো ক্যাভয়দায়িনী । যথা কামোজপ: কায্যে মন্ত্রাণামপি মে শৃণু | মাতৃকা দেবী পঞ্চাশদ্বর্ণরূপা,—ঐ সকল বর্ণ হইতে উৎপন্ন মন্ত্র ত্ৰিভুবনের ভয় নিবারণ করে এবং মনুষ্যগণ যে কামনায় মন্ত্র জপ করে, তাহার সেই কামনা পুর্ণ হয়।