পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: సె రి যোগতত্ত্ব-বারিধি । பம் নির্গত হইলে আকাশে অধিক গোলযোগ করে না, এই জন্ত উহাদিগকে স্ত্রীমন্ত্র বা ক্লীবমস্ত্র বলা হয় । একপদবিশিষ্ট বা একাধিক অক্ষরে গঠিত মন্ত্র গুলিও স্ত্রীমন্ত্র বলিয় অভিহিত হইয়া থাকে । সংস্কৃত ভাষায় সৰ্ব্বশুদ্ধ সাতকোট মন্ত্র আছে। একদল মন্ত্রশাস্ত্রের অধ্যাপক বলেন,—ঠিক সাতকোটী নহে,—৬৭,১০৮,৮৬৩ । প্রত্যেক মন্ত্র বিংশতি প্রকার ছন্দের কোন না কোন ছন্দের অন্তভূতি । ঐ ছাব্বিশটি বীজমন্ত্র একটি করিয়া লইয়া, দুইটি করিয়া লইয়া, তিনটি করিয়া, বা ঐকপে ক্রমণম্বয়ে মিলিত করিলে যে সংখ্যা হয়, তাহাই ৬৭,১ • ৮,৮৬৩ । ইহা বীজগণিত দ্বারা প্রমাণ করা যাইতে পারে । অর্থাৎ ২৬টা বীজ ভিন্ন ভিন্ন রূপে মিলিত হইলে, ভিন্ন ভিন্ন শব্দের উৎপত্তি হয় । কিন্তু কথা এই যে, এই রূপে মিলিত হইয়া কতপ্রকণর শব্দের উৎপত্তি হইতে পারে ? এই প্রশ্নের উত্তর বীজগণিতদ্বারা অতি সহজেই অবগত হইতে পারা যায় । ছাব্বিশটি বীজের একটি একটি বীজ হইতে ছাব্বিশটি শব্দ –তুইটি করিয়া মিলিত হইলে কতকগুলি ঐ রূপ শব্দের উৎপত্তি হয়, তিনটি করিয়া কতকগুলি হয় । এইরূপে ২৬টিকে সাজাইলে ২25, ১ অথাৎ ৬৭,১০৮,৮৬৩ । সেই জন্যই কথিত আছে, সৰ্ব্বশুদ্ধ ৬৭,১ e৮,৮৬৩ মন্ত্র আছে । মন্ত্রগুলি অগ্নি ও সোম, এই তুই ভাগে বিভক্ত। যদি কোন মন্থের অধিকাংশ অক্ষর পিঙ্গল হইতে উদ্ভূত হয়, তাহা হইলে তাহাকে অগ্নিমন্ত্র বলে । আর যদি সুষুম্না হইতে হয়, তবে তাহাকে সোমমন্ত্র বলে । রুদ্র, মঙ্গল, গরুড, গন্ধৰ্ব্ব; যক্ষ, রাক্ষস, সর্প, কিন্নর, পিশাচ, ভূত, দৈত্য, ইজ, সিদ্ধ, বিদ্যাধর ও অসুর, এই পঞ্চদশ দেবতা সৰ্ব্বপ্রকার মস্ত্রের অধিষ্ঠাতা । কোন কোন গ্রন্থকারের মতে অষ্টাদশ প্রকণর দেবতা মস্ত্রের অধিষ্ঠাতা উক্ত আছে।