পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি। శిషా6t নিদিষ্ট দেবতার আরাধন করা যায়। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট মন্ত্রের দ্বারা কোন দেবতার আরাধনা হইতে পারে, তাহা মন্ত্রটিকে পাঠ করিলেই বোধগম্য হইতে পারে । মন্ত্ৰসকল ব্যর্থ বিচরিত নহে । যে উদ্দেশ্রেষ্ঠ উচ্চারিত হয়, তাহা নিশ্চয়ই সফল হইয়া থাকে । কিন্তু বাস্তবিক সফল হইল কি না, তাহ কার্য্যে ভিন্ন অন্য প্রকারে জানিবার উপায় নাই । কোন বাজীকর একখানি চৌকীকে শুদ্ধ করিবার ইচ্ছা করে। সে আপন মনে একটি মন্ত্র উচ্চারণ করিল,—কিন্তু তাহার চৌকী শুদ্ধ হইল কি না, সে প্রকৃষ্ট কৰ্ম্মী না হইলে তাহা বুঝিতে সক্ষম হইবে না । ■ 輯 মন্ত্রশাস্ত্রে দুই প্রকার দেবতার উল্লেখ আছে । ত্বক মন্ত্র, আর স্বক্ষ শরীর । কিন্তু ইহ। দ্বারা আমরা কিছুই বুঝিতে পারিলাম না । আগম ও পুরাণে এই বিষয়ে অনেক রহস্ত নিহিত আছে । মহাযোগী শঙ্করাচার্য্য-প্রণীত “ব্রহ্মস্থত্র” নামক অতি প্রামাণ্য গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে যে,—দেবতাগণ ইচ্ছামুরূপ আকুতি ধারণ করিতে পারেন । অতএব আমরা যদি বলি যে, দেবতাগণ মানব হইতে উন্নত জীব-— র্তাহারা উৰ্দ্ধজগতে বিচরণ করেন—তা হা হইলে আমাদের ভ্রম হয় না । কিন্তু এই উৰ্দ্ধজগৎবাসী,—মানব হইতে শ্রেষ্ঠ জীবের সহিত অামাদের বিশেষ সম্বন্ধ আছে। কিন্তু সেই সম্বন্ধ মুখে বলা যায় না,—মন্ত্রই সেই দেবতাদিগের সহিত সম্বন্ধ রাখিবণর একমাত্র উপায় বা সোপান । 醫 আমরা যে কোন দেবতাকে ইচ্ছা করি না কেন, তাহাকে ♔ുജു আনুয়ন-বু অধিষ্ঠান করিতে পারা যায়। যোগসিদ্ধ ঋষিগণদ্বারা মন্ত্রগুলি ঐ রূপ ভাবেই গঠিত হইয়াছে। র্তাহারী কেন যে, মন্ত্রগঠনের বিষয় এত গোপন করিলেন, তাহা আমাদের মত ক্ষুদ্রবুদ্ধি লোকের বোধগম্য নহে ।