२१y যোগবশিষ্ঠ । মিত্রকে কহিতেছেন । তদৰ্থে এভংশ্লোক উক্ত হইয়াছে। যথা—(ভূশং লক্ষুব্রতীতি ) ৷ ভৃশংস্কৃতি নীহারে শাম্যত্যলোক আগতে / দুল্ল জ্ঞেষুপদং ধত্তেচিন্তাচপলবহিণী ॥ ২৬ । নীহারেবর্যাবসানেতং সদৃশমোহাবরণেচক্ষরতিমৃত্যুতি আলোকৈৰ্ব্বিবেকপ্রকাশোপলক্ষিতে শরদিরদুল্ল জ্যেঅমাধ্যেদুগমেপদং ব্যবসায়ংনীড়ঞ্চ ॥২৬ ৷৷ অস্তীর্থঃ। হে বিজ্ঞানবানু পুরুষ বিশ্বামিত্র ! যেমন বর্ষাকালে মেঘাবৃত নভোমণ্ডলকে অবলোকন করিয়া চঞ্চল চরণ ੀ নৃত্যপরায়ণ জয়, এবং বর্ষাবসানে শরদীগমে নির্মল গগণমণ্ডল দেখিয়া উৎসাহ বর্জিত হয়। তদ্রুপ জীবের চিন্তা চঞ্চল আশা ময়ী হৃদয়াকাশকে মোহ স্বরূপ মেঘে আবৃত দেখিয়া নিরস্তর সৰ্ব্বোং সাহে তাণ্ডবিতা গতি ধারণ করে, যখন ঐ হৃদয়াকাশে বৈরাগ্যস্বরূপ শরৎকালের উদয় হয়, তখন একবারে নিরুৎসাহমুক্ত হইয়া পুচ্ছ সঙ্কোচকরণ,ন্যায় সুদুৰ্গম ব্যবসায় রূপ নীড় মধ্যেই অবস্থান করে। ২৬ । , তাৎপৰ্য্য —জীবের যে পর্যন্ত বিষয় লাল দlথাকে, সে পর্যন্ত মোহামোহে আকৃষ্ট হইয়। উন্মত্ত প্রায় ভ্রমণ করে, অর্থাৎ মেঘাগমে ময়র ন্যায় আহাদ করিয়া বেড়ায়, যখন বৈরাগ্যোদয় হয়, তখন শরৎকালীন নিরুৎসাহ গিরি গহবর শাস্থি ময়,রের ন্যায় নিশ্চিন্ত হইয়া অবস্থান করে। ২৬। অনন্তর শ্রীরামচন্দ্র প্রাবিট তরঙ্গিণী অর্থাৎ বর্ষাকালে তরঙ্গমালিনী নদীর দৃষ্টাস্তে বিষয় তৃষ্ণার বর্ণন করিয়া ঋষিকে কহিতেছেন, তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে যথা –( জড় কল্লেলি বহুলেতি ) ৷ o জড়কল্লোলবহলাচিরং শূন্যান্তরান্তর । , ক্ষণমুল্লাসমায়াতি তৃষ্ণ প্রাবিট্তরঙ্গিণী ॥২৭ ফলজলানকালেশ্বনাভং কলেপিঅন্তরান্তর মধ্যেমধ্যে শ্বনাউল্লালুংফলজল মম্পতোপচয়ং প্রাটি তরঙ্গিণীবৰ্ষৰ্ত্ত মাত্রপ্রবহনদী। ২৭ ৷৷ o অস্ত্যার্থঃ । ছে ঋষিবর কৌশিক। কেবল বর্ষাকালে প্ৰবৰ্দ্ধিনী নদী যেমন বর্ষাজল সংসর্গে তরঙ্গমালিনী হয়, বর্ষাতিরিক্তকালে জলখুনা প্রায়, কদাচ বর্ষাকালেও মধ্যে
পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/২৮৫
অবয়ব