পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( or ) উঃ । প্রাণায়ামকে সাধন বলে না। ইহাকে ভূতশুদ্ধি বলিয়া থাকে, কারণ ইহাদ্বারা শরীর শুদ্ধ হয় এবং তাহার সহিত মন ও কিঞ্চিৎ একাগ্রতা লাভ করিয়া থাকে। ইহা বাহিরের অবলম্বন মাত্র। যেমন খোল,করতাল, সঙ্গীত, স্তব, স্তুতি প্রভৃতি বহিরের অবলম্বন দ্বারা সাধনের কিঞ্চিৎ সাহায্য হয় প্রাণায়ামেও তদ্রুপ হইয়া থাকে। যে সকল স্থলে সাংকের শরীর সুস্থ ও নিষ্পাপ আছে সেখানে প্রাণায়ামের প্রয়োজন নাই। ১১শ প্রঃ। একটি বিশেষ নাম সাধনে উপকার কি ? উঃ । নাম সাধন স্বতন্ত্র কথা, তাহাতে ভগবানের একটিমাত্র মাম জপে তাদৃশ উপকার হয় না। যখন যে ভাব প্রবল হয় ও মিষ্ট বোধ হয় তখন সেই নামই জপ করিলে উপকার হয়। পরমেশ্বরের কোন নির্দিষ্ট নাম নাই। ব্রহ্ম, ঈশ্বর, হরি, দুর্গ, কালী, কৃষ্ণ, আল্লা বা God যে কোন নামে সেই পূর্ণ পরাৎপর অদ্বিতীয় ঈশ্বরকে ডাক, ক্ষতি নাই। তহার জড়ীর রূপ কল্পনাই দোষ। আমাদুের সাধন নামসাধন নহে নাম বাহিরের জিনিষ, আমাদের সুধিন প্রাণের বস্তু; ইহাকে এক কথায় জীবন্ত প্রার্থনা বা ব্ৰহ্ম সাধন বলা যাইতে পারে। ইহার সহিত যে নামের যোগ তাহা ও প্রাণায়ামের দ্যায় বাহিরের অবলম্বন মাত্র। কিন্তু কোন একটি নির্দিষ্ট নাম যে সকলকেই গ্রহণ করিতে হইবে তাহাও নহে । ১২শ প্রঃ । ভিন্নং ব্যক্তির পক্ষে ভিন্ন ২ নাম থাকিলেও এক জনের একটি মাত্র নাম লওয়ার ফল কি ? উঃ । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে আমাদের সাধন নাম সাধন মহে । ইহা সাক্ষাৎ ব্রহ্ম সাধন। মূল বস্তু যে কি তাহ, অর্থাৎ সাধ