পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s ) নের প্রকৃত তত্ত্ব সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক ; উহা বাহিৰের ভাষায় বা অন্ত কোনও উপায়ে ব্যক্ত করা যায়না। যদি ব্ৰহ্ম কৃপায় উপযুক্ত সময়ে কাহারও ভাগ্যে সেই অবস্থা প্রফুটিত হয় তবে তিনিই বুঝিতে পারেন এই সাধন কি। নতুবা কেবল প্রাণায়াম বা নাম সাধনই সার। তবে ঐ নামটির উপকারিতা এইটুকু যে উহাতে একটু বিশেষ ভাবযোগ (associat’on of ideas কায় উহা স্মরণ করিতে করিতে পূৰ্ব্বের লন্ধ অবস্থা আবার প্রাণে সমুদিত হয়। ১৩শ প্রঃ। আপনারা গোপনে সাধন করেন কেন ? যাহা কিছু ধৰ্ম্ম ও মানবাত্মার কল্যাণকর তাহ৷ সৰ্ব্ব সমক্ষে করিয়া সকলকে শিক্ষা দেওয়াই কি প্রার্থনীয় নয় ? উঃ। এই সাধনের প্রকৃতি যেরূপ বর্ণিত হইল তাহা একটু প্রণিধান পূৰ্ব্বক চিন্তা করিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে যে ইহা ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মের অন্তান্ত সত্য প্রচারের দ্যায় প্রচার অসম্ভব । আর ব্রাহ্ম সমাজ যে সকল কথা নিয়ত প্রচার করেন তাহা না করিলে লোক্লের ছানি হয়, কিন্তু প্রার্থনার অবস্থা কি প্রচার করা যায় ? এজন্য বাস্তবিকই প্রতিনিয়ত সজনে নির্জনে সৰ্ব্বত্রই আমাদের সাধন চলিতে থাকে,অথচ কেহই হাঙ্গা জানিতে পারেন বুঝিতে ও পারেন। তবে যখন সকলে একত্রে প্রাণায়ামাদি বাহিরের সাধন করি তখন যদি প্রকাস্তে বসি, তাহা হইলে প্রথমতঃ একটি মহৎ অপকার এই ছয় যে ভিতরের কথা কিছুই না বুঝিয়া দর্শকগণ প্রাণয়ামের বিরুদ্ধে উপহাসাদি করিতে পারেন। এই আশঙ্কায় আমাদের অত্যন্ত শঙ্কোচ হয় ও সাধনের ব্যাঘাত জন্মে ।