পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৯, ৪র্থ সংখ্যা ] ভাস্কর লক্ষ্মার তাম্রশাসন । অঞ্চলের পরিচায়ক কোনও কিছু থাকিত, তবে ইহা কতদূর মূল্যবান হইত ! তাহা হইলে মনে করিতাম যে, ইহার “শ্ৰীহট্ট” এই স্বতন্ত্র নাম থাকিলেও ই তা কামরূপের সাৰ্ব্বভৌমত্বের অধীন ছিল । শ্ৰীহট্ট প্রভৃতিকে যোগিনীতন্ত্র ইত্যাদিতে কোন কামরূপের অস্তি বৰ্ত্তী বলা হয়, তাহার সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা এস্থলে অসঙ্গত হইবে না । যোগিনী তন্ত্রে কোচ রাজ বিশ্বসিংহের নাম আছে ; বিশ্বসিংহ খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে প্রানুভূত হইয়াছিলেন। ষোড়শ শতাব্দীতে শ্ৰীহট্ট ময়মনসিংহ প্ৰভৃতি দিল্লীর বাদশাহের অধীনে ছিল । ত্ৰয়োদশ (অগত্য চতুৰ্দশ ) শতাব্দীতেই এই অঞ্চল মোসলমানের করতলস্থ হয় । তথাপি যোগিনী তন্ত্ৰে কামরূপের সীমামধ্যে কেন এই প্ৰদেশ নির্দেশিত হইল ? আজি ও কোন শ্ৰীহট্ট ময়মনসিংহ এমন কি ঢাকা পৰ্য্যন্ত অঞ্চলে কামরূপের দোহাই দিয়া হংসপারাবিত কুৰ্ম্ম-কমাঠের সুস্বাদু মাংস ভক্ষিত হইয়া থাকে ? ইহা হইতে এই প্ৰতীত হয় ঘে, তন্ত্রপুরাণোক্ত কামরূপের সীমা কোন ও রাজনীতিক (political) সীমানির্দেশ নাহে ; ইহার অন্য অর্থ আছে । মনুতে যে অর্থে “ব্রহ্মাবৰ্ত্ত” “আৰ্য্যাবৰ্ত্ত’ প্ৰভৃতি সংজ্ঞা দেখা যায়, তন্ত্রপুরাণে, ‘কামরূপের" সংজ্ঞা ও সেই অর্থে গৃহীত হইবে । শুদ্ধি তত্ত্ব হইতে একটি বচন উদ্ধত হইতেছে :- “অঙ্গ বঙ্গ-ক লিঙ্গেয়ু সৌরাষ্ট্রমগধেনু চ | তীর্থযাত্ৰাং বিনা গচ্ছন পুনঃসংস্কার মহতি ৷৷" কিন্তু মা কামাখ্যার কৃপায়,--- “তত্ৰ ( কামরূপে ) যে মানবাঃ সস্তি তে দেবী নাত্ৰ সংশয়: । 米 تلمجه 米 অন্যত্র বিরলা দেবী কামরূপে গৃহে গৃহে ৷” ( যোগিনীতন্ত্র ) এমন কি ইহাকে “বারাণস্যাঃ কি লাধিক।” বালিতে ও মহাদেব ( তন্ত্রের বক্তা ) কুষ্ঠিত হন নাই। তাই রঙ্গপুর ময়মনসিংহ, এবং সম্প্রতি শ্ৰীহট্ট ও ) বঙ্গ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া ‘আসামে’র সঙ্গে যোজিত হইয়া রাজনীতিক হিসাবে প্ৰবল অনিচ্ছা প্ৰদৰ্শন করিলেও “কামরূপের” নিবিষ্ট বলিয়া সদাই গৌরব করিয়া আসিতেছে। এখন শ্ৰীহট্ট-পঞ্চখণ্ড যদি ভাস্করবম্মার রাজ্যের অন্তনিবিষ্ট ছিল না বলিয়া ধরা হয়, তবে শাসনখানি সেখানে গেল কি প্রকারে ? এই সম্বন্ধে ও সর্বপ্রসারী অনুমানের অবকাশ আছে। ভাস্করবম্মার তিরোভাবের পরে একটা রাষ্ট্রবিপ্লব যে ঘটিয়াছিল, ইহা পুৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। তাহাতে শাসন-প্ৰাপক ব্ৰাহ্মণ বা তঁহার উত্তরাধিকারী বিস্তুচুত হইয়া অপেক্ষাকৃত নিরাপদ দেশে গিয়া তৎস্থানের অধিপতি হইতে কিঞ্চিৎ ভূমি লাভ করিয়া উপনিবিষ্ট হইবেন, ইহাতে আশ্চাৰ্য্যের বিষয় কিছুই নাই। শাসনখানি নিজের বা পূৰ্ব্বপুরুষের গৌরবখ্যাপক বলিয়া তাহা সঙ্গে নিয়া যাওয়াও স্বাভাবিক। তন্মধ্যে একখানি ফলক যে হারাইয়াছে, ऊांश्ानि কারণও অনুমান করা যাইতে পারে। অনুসন্ধানে জানা গিয়াছে যে, এই ফলকগুলি অঙ্গুরীয়ক দ্বারা