লক্ষা করিয়া কহিল, “আপনার টিকিটের নম্বর এক হাজার দুইশত দুই। এই নম্বর সংযুক্ত যে দ্রব্য এই দোকানে সাজান আছে, তাহা আপনার।” এই কথা শুনিয়া তিনি দোকানের ভিতর অনুসন্ধান করিয়া দেখিতে লাগিলেন, কোন্ দ্রব্যের উপর এক হাজার দুইশত দুই নম্বর আছে। অমনি দোকানদারের আর একজন সাহায্যকারী সেই টেবিলের উপর হইতে একটী সুবর্ণ-নির্ম্মিত একটী ঘড়ি বাহির করিয়া দিল ও কহিল, “ইহাই এক হাজার দুইশত দুই নম্বরের দ্রব্য।” এই কথা বলিয়া সেই ঘড়িটী তাহার হস্তে প্রদান করিল ও কহিল, “আপনার অদৃষ্ট খুব ভাল, এক টাকায় আপনি দুইশত টাকা মূল্যের ঘড়িটী পাইলেন।”
ইহার পরই আর একজন আর একটা টাকা দিয়া একখানি টিকিট ক্রয় করিল। সেও একখানি বড়গোছের গেলাস বা আয়না পাইল; তাহার মূল্যও চল্লিশ টাকার কম নহে।
আগন্তক ব্যক্তি ইহা দেখিয়া, এবং মধ্যে মধ্যে ক্রেতারূপী জুয়াচোরগণের প্রলোভন-যুক্ত বাক্য শুনিয়া তিনিও একটী টাকা বাহির করিয়া একখানি টিকিট ক্রয় করিলেন; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, তিনি মূলাবান্ দ্রব্যের পরিবর্ত্তে এক পয়সা মূলোর একটী পেন্সিল পাইলেন। জুয়াচোরগণের প্রতারণায় পড়িয়া পুনরায় আর একটী টাকা বাহির করিলেন, সে বারে—পাইলেন এক বাণ্ডিল সুচি। তাঁহার নিকট আঠারটী টাকা ছিল, এইরূপে তাঁহার অনিচ্ছাসত্বে, অথচ জুয়াচোরগণের প্রতারণায় পড়িয়া ক্রমে ক্রমে তিনি তাঁহার সেই আঠার টাকাই সেই স্থানে অর্পণ করিলেন; কিন্তু তাহার পরিবর্ত্তে তিনি আঠার পয়সা মূল্যের দ্রব্য পাইলেন কি না, সন্দেহ। যে দোকানে এইরূপ কাণ্ড