প্রবেশ করিয়া থাকেন। সেই দোকানের মধ্যভাগে পাতিত একটী টেবিলের উপর বা দোকানের মধ্যস্থিত গ্লাসকেসের মধ্যে নানা প্রকারের বহুমূল্য দ্রব্য সকল সাজান আছে। উহাদিগের কোন দ্রব্যেরই দাম পঁচিশ টাকার কম নহে, বরং একশত দুইশত টাকা পর্য্যন্ত হইতে পারে। সেই সকল দ্রব্যের প্রত্যেকগুলিরই উপর কাগজের টিকিটে একটী একটী নম্বর লেখা আছে। যিনি দোকানের অধিকারী বলিয়া পরিচয় প্রদান করিয়া থাকেন, তাহার সম্মুখে একটী খোলা বাক্সের মধ্যে কতকগুলি সাদা “কার্ড” আছে, উহাতেও একটী একটী নম্বর লেখা আছে। তাহার সম্মুখে পূর্ব্ব-বর্ণিত নিলামের দোকানের ন্যায় সেই দলের অপর কতকগুলি জুয়াচোর ক্রেতারূপে দণ্ডায়মান হয়। ইহাদিগের মধ্যে না-আছে-এমন জাতিই নাই। সাহেব আছেন, ইহুদি আছেন, মুসলমান আছেন, বাঙ্গালি আছেন, এক কথায় অনেক জাতির অনেক লোক সেই স্থানে এরূপ ভাবে দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহাদিগের অবস্থা বা চালচলন দেখিয়া, তাহাদিগের সহিত আলাপ পরিচয় করিয়া, কেহই বুঝিয়া উঠিতে পারেন না যে, উহারা জুয়াচোর।
আগন্তক দোকানের মধ্যে প্রবেশ করিবামাত্রই একজন নিজের পকেট হইতে একটা টাকা বাহির করিয়া সেই দোকানদারের হস্তে প্রদান করিল। দোকানদার তাহার সম্মুখস্থিত সেই খোলা কার্ডের বাক্সটী দেখাইয়া দিয়া কহিল, “উহার ভিতর হইতে আপনি একখানি কার্ড বা টিকিট গ্রহণ করুন।” তিনি তাহার ভিতর হইতে একখানি টিকিট গ্রহণ করিয়া সেই দোকানদারের হস্তে প্রদান করিলেন। দোকানদার সেই টিকিটের দিকে একবার