পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S や。 তবে মরণরসে নে পেয়ালা ভরে | সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জ্বলনের মেটায় জ্বালা, সব শূন্যকে সে অট্ট হেসে দেয় যে রঙিন করে। চন্দ্রা এসো-না বেয়াই, পালাই আমরা । বিশু সেই নীল চাদোয়ার নীচে খোলা মদের আডডায় । রাস্তা বন্ধ । তাই তো এই কয়েদখানার চোরাই মদের ওপর এমন ভয়ংকর টান । আমাদের না আছে আকাশ, না আছে অবকাশ– তাই বারো ঘন্টার সমস্ত হাসি গান সূর্যের আলো কড়া করে চুইয়ে নিয়েছি এক চুমুকের তরল আগুনে । যেমন ঠাস দাসত্ব তেমনি পঙক্তি ৪২১-৪৩০ S তবে মরণ রসে নে পেয়ালা ভরে । সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জ্বলনের মেটায় জ্বালা, সব শূন্যকে সে অট্টহেসে দেয় যে রঙীন করে । তা এসনা এখান থেকে পালাই আমরা । আমাদের সেই নীল চাঁদোয়া খাটানো বড় মদের আডডায় পালাবার জো থাকলে ত বঁচিতুম। রাস্তা বন্ধ তাই ত এই মদ ধরেচি। বারো ঘণ্টার সমস্ত হাসি গান সমস্ত সূর্যের আলো আমরা খুব কড়া করে চুইয়ে নিয়েচি এই এক চুমুকের তরল আগুনে,- সমস্ত দিনটির যে ছড়ানো সোহাগ, সেই ত কষে ছানিয়ে নিয়েচি একটি রাঙা চুম্বন রসে, এ সইতে পারা শক্ত, কিন্তু এ না হলেও সইতে পারিনে। যক্ষপুরীতে কারো সময় নেই, তাই চার প্রহরকে গাঢ় করে নিতে হয় একদণ্ডের মধ্যে । প্রতিদিন আমাদের একটি করে সোনা ওর অতলে তলিয়ে মারা যায় তার সব রং সব রসের ভরা নিয়ে— সেই লোকসান ভোলবার জন্যে একটা দণ্ড পাই, বেয়ান, সেটাও যদি তোমার ૨ তবে মরণরসে নে পেয়ালা ভরে । সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জ্বলনের মেটায় জ্বালা, সব শূন্যকে সে অট্টহেসে দেয় যে রঙীন করে । চন্দ্রা এস না, বেয়াই, এখান থেকে পালাই আমরা ! ৪২৫ 8 ○○