পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ じこ নন্দিনী আমাকে তোমার কিসের দরকার ? অধ্যাপক দরকারের কথা যদি বললে ঐ চেয়ে দেখ। আমা সাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বোঝা মাথায় কীটে মত বেরিয়ে আসচে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু ধন সব ঐ ধুলার নাড়ীর ধন সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সোনা সে ত ধূলোর নয়, সে যে আলোর । দরকারের বাধনে তাকে কে বাধবে ? নন্দিনী বারে বারে তুমি ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের, অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে কারো বিস্ময় নেই, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আরেক কথা । তুমিই বা এখানকার কথা কি ভাবচ বল দেখি ? (খ) শেষ অংশ : ফাগুলাল চল। জয় নন্দিনীর । বিশু ঐ বুঝি ধূলোয় পড়ে ? ফাগুলাল হা ঐ ত রক্তকরবীর কঙ্কণ তার ডান হাত থেকে খসে পড়েচে । আজ সে তার হাতখানি রিক্ত করে দিয়ে চলে গিয়েচে । বিশু তাকে বলেছিলুম তার হাত থেকে কিছু নেব না তবু সে আমাকে শেষ দান দিয়ে গেছে, তার রাখীবন্ধন । চল । (প্রস্থান) দূরে গান পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে’ আয়, আয়, আয় । মরি, হায় হায় হায় ! പ || പ (আট) নবম খসড়া। পাণ্ডুলিপি সংখ্যা 149(i), পৃষ্ঠা সংখ্যা82 । অন্যান্য বিবরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— পাণ্ডুলিপির আকার অনেকাংশে 151(vi) পাণ্ডুলিপির সমতুল্য। এই খসড়াটি অন্য কারো হাতে তৈরি অনুলিপি। হলদে রঙের মলাটের রুলটানা একসারসাইজ খাতায় লেখা এই খসড়ার কোথাও রচনাকাল ও রচনাস্থানের উল্লেখ নেই। কবির হাতে কচিৎ সংশোধন বর্জন ও সংযোজনের চিহ্ন রয়েছে।