পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
রঙ্গমতী।

“কুলক্ষণ! ধরি কূল!”—যুবা নিরুত্তর!
মাজির আশঙ্ক কণ্ঠে, জাগিয়া সত্রাসে
বলিল প্রাচীন এক —“ জিজ্ঞাসিস্ কারে?
ফিরা তরী! ফিরা তরী!’’
    যুবক ভাবিলা,—
এইরূপে ক্রমে ওই নীরদের মত,
জীবন-আকাশে হয় দুর্ভাগ্য সঞ্চার!
দুর্ভাগ্যে দুর্ভাগ্য আসি হয় সংমিলিত
এই রূপে! এই রূপে করি আচ্ছাদিত
প্রণয়-ভাস্করে, জীববাসনার স্রোত
করে তমোময়। করে দুঃখের কানন
দ্বিগুণ ভীষণাবহ আচ্ছাদি তিমিরে।
রুদ্ধ হ’ল চিন্তাস্রোত! ভীষণ স্বননে
ঝটিকা বহিতেছিল তটিনী হৃদয়ে।
গর্জিছে তরঙ্গগণ ফণা অস্ফালিয়া
অনন্ত বাসুকী যেন। কিম্বা প্রভঞ্জন
করিতেছে দৈববলে তরঙ্গিণী যথা!
গগনে ঘর্ঘর ধ্বনি; ঘন ঘটাজালে
আচ্ছন্ন আকাশ এবে! জীমূত বিগ্রহে
বিধুমিত!—প্রজ্বলিত তাড়িতস্ত্রে!—ঘন
বিলোড়িত প্রভঞ্জন বলে! উর্ধে ভীম