পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমর্তী। < অম্ভোদি নির্ঘোষ ! নীচে তরঙ্গ নির্ঘাত ! আঘাতে আঘাতে তরী দুলিতে লাগিল ; এই উঠিতেছে যেন আকাশ উপরে, দৃশ্যমান বনরাজি ! এই পড়িতেছে পুনঃ সলিল গহ্বরে,—অদৃশ্য কানন ! ভীম আবর্তনে উৰ্ম্মি বিস্তারিয়া কয়, পড়িতেছে অছাড়িয়া তরী পুরােভাগে বজুনাদে !—প্রতিঘাতে মাজিগণ শিরে ছিটাইয়া জলরাশি। ব্যস্তে কর্ণধার জোরে মাের বাবা !”—বলি অতি উচ্চৈঃস্বরে, করিছে চীৎকার! প্রাণভয়ে দাঁড়ীগণ সজোরে টানিছে দড়ি পৃষ্ঠে ভর করি! কিন্তু প্রতিকূল বাতে স্থিরভাবে তরী আছে দাঁড়াইয়া !~-াড়ে নাহি পায় জল, কি করিবে দাড়ী? ভীম আন্দোলনে আপন আসন হতে পড়িতেছে ঘুরি। কি করিবে সে, জল ঝলকে ঝলকে উঠিতেছে চারিদিকে ? সমুদ্র কেমনে শুকাবে সিঞ্চনে শুক্তি ? এখনও তীর বহুদুর, প্রাণপণে নাহি হয় তরী অগ্রসর একপদ,-সহস্র কুঞ্জরে