পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুর-সুন্দরী শশাঙ্কখণ্ডভালিনি । সুধা-সমস্ত-শালিনি। কৃতান্ত-যন্ত্র-খণ্ডিকে ! কুপাণু দেহি চণ্ডিকে । প্ৰলম্ব-হার-লম্বিকে । প্রসাদ মাতরম্বিকে। দুরন্ত দুঃখ ত্ৰাহি মে। উপায় শীর্ঘ দেহি মে। এইরূপে একমনে করে নতি স্তুতি । পূসনু হইলা তাহে দেবী শিবদূতী।। পাশু গুহে নরাঙ্কিত হয় দৈববাণী। মা ভৈ ম ভৈ রবে ভৈরবী ভবানী । কহিছেন সুেহভরে “শুন কন্যে সতি । তোর অমঙ্গল করে কাহার শকতি ৷৷ সতীত্ব কবচে তোর আবৃত শরীর। প্রকাশে প্রভাব যেন মধ্যাহ-মিহির । কার সাধ্য অতিচার করিতে তাহার । কো তুচছ আকৃবর যবন-কুমার। ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই আর । এই লহ তরবারি প্রসাদ আমার । হৃদয়ে গোপনে রাখি করহ গমন । সাহসে নির্ভর যতি দৃঢ় কর মন ।” শুনিয়া স্তম্ভিত চিত কিছুক্ষণ সতী । উদ্দেশে চণ্ডিকাপদে করিল পুণতি।। দেখে জানালায় এক মুতীক্ষু ভুজালী । হৃদয়ে রাখিল মুখে বলি জয় কালী । কদম্বকুসুম পায় লোমাঞ্চিত কায় । চকিত স্থগিত নেত্রে এই মনে ভায় । "যে স্বরে ভবানী-বাণী শুনিলাম কানে। যেন তাহা শুনিয়াছি আর কোন্‌খানে।” অনেক চিন্তিয়া সতী করিল নিশচয়। “যোগিনীর স্বর প্রায় অনুভূত হয়। বুঝিলাম কালিকার করুণ। এখন। আমারে রাখিতে দেবী দিলা দরশন। যোগীর নিকটে যেতে করিলেন মান । নিবারিল প্রথমার পুলোভন নানা । ®y© বুঝিতে না পারি কিছু অভিসন্ধি তার। প্রবৃত্তি প্ৰবন্ধ কত দিল বার বার। এখন আমায় ত্যজি অদৃশ্য হইল। সভাভঙ্গে কেনা মোরে সঙ্গে না লইল । দেখেছি ক-দিন আসে এই নেীরেজিায় । নানা রতু-অলঙ্কারে গৃহে ফিরে যায়। কোথায় পাইল সেই সকল রতন । কেন হেন কেমন কেমন করে মন ।।’’ ভাবিতে ভাবিতে বালা যায় দ্রুতগতি । সহসা ভেটিল তথা আসি দিল্লীপতি । রাজপরিচছদধর মনোহর বেশ । রূপেতে করিল আলো পাঙ্গণ পদেশ। কোহিনুর রতু ভেট দিয়ে সতীপদে । জানু পাতি কহে যুক্ত-কর-কৌকনদে । শুন রাজকন্যে মহীধন্যে বরাননি । তব রূপ গুণ যশে ভরিল ধরণী । নয়ন-শ্রবণ-বাদ ভঞ্জন কারণ। করিলাম যজ্ঞরূপ নেীরোজা স্বজন । তব অধিষ্ঠানে পূর্ণ হলো সেই যাগ । লহ এই কোহিনুর তব যজ্ঞভাগ । তোমার আযোগ্য এই খনিজাত মণি । হৃদয়ে দ্বিতীয় ভেট আছে সুবদনি। যদি তুমি অনুমতি দেহ অকিঞ্চনে । বুক চিরে সেই মণি দেই শ্ৰীচরণে।। রাঙ্গাপায় বিকায়েছি পাণ আর দেহ। পুসনু হইয়ে দীনে কৃপাদৃষ্টি দেহ ।” যেন কোন পথিক পতিত ঘোর বনে । পথ হারা দিক্‌ হারা ভ্ৰমে ভ্রান্তমনে । অকস্মাৎ করে দৃষ্টি নির্গম সময়। ভীষণ শাৰ্দ্দল আসি সম্মুখে উদয়। তরজে গরজে ঘোর সুগভীর স্বরে । সেইরূপ দেখে সতী দিল্লীর ঈশূরে। প্রথমতঃ প্ৰকম্পিত হইল শরীর। পূবল পবনে যেন কদলী অস্থির। কিন্তু ক্ষত্রিয়ার তেজ থাকে কতক্ষণ । শরদ-জলদে কভু চাকে বিকৰ্ত্তন । কেশরি-কুমারী পায় বিষম বিক্রম। কহে সতী, “শুন রে মোগল নরাধম।