পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । 노 যুব । বাবা পরিব্রাজক ! আমি তথায় কিরূপে গমন করিব তাহার উপদেশ দিয়া অামাকে কৃতাৰ্থ কৰুন ! ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান,—আপনকার কিছু অগোচর নাই । পরিত্রা | রে বৎস! পূৰ্ব্বজন্মের যুরুতিতে তোমার পরিরাজকুমারীর সঙ্গে মিলন হইয়াছিল । তাহার সঙ্গসুখভোগ করিয়া সেই সুরুতির শেষ হইয়াছে রজতগিরি-রাজকন্যা দেবকন্যাবিশেষ । তাহার সহিত পুনর্মিলন হওয়া কঠিন । বিশেষতঃ আমরা মনুষ্যজাতি ; দেবতা ও মনুষ্যে মিলন হওয়া বিধিনিৰ্ব্বন্ধ নহে । অতএব যুবরাজ, সে অাশা ত্যাগ করিয়া স্বরাজ্যে পুনর্গমন কর । অধিকন্তু রজতগিরিপুর অতি দুর্গমস্থান, তাহ পূর্বেই উক্ত হইয়াছে, আর এতদ্রপ-পত্নী-বিচ্ছেদে কেন কাতর হও । তোমার ন্যায় রূপবান ও ঐশ্বৰ্য্যবান যুবরাজের মহিষী হওনার্থ ভূলোকে কোন ভূপতির নন্দিনী শিবপূজা না করিতেছে । যুবরাজ । বাবা পরমহংস ! আপনকার বাক্য শিরোধাৰ্য্য করিলাম ; যেহেতু তাহা দেবগুৰুর যুক্তির ন্যায় সুসঙ্গত । কিন্তু আমি ঐ প্রণয়িনীর অন্বেষণ না করিয়া নিরস্ত হইব না, ইহা অামার প্রতিজ্ঞা অণছে । স্বৰ্গ, মর্ত্য, রসাতল—ও অনল শীতল—হইলেও অামি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিব না। আপনি মাত্র আশীৰ্ব্বাদ কৰুন যে এই অনুষ্ঠানে আমি কৃতকাৰ্য্য হই । আমার প্রণয়িনী যে পথে গমন করিয়াছেন, আমিও সেই পথে যাইব ।