পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রজতfগরি নন্দিনী। আহা ! অবলার প্রাণে কতই সহ্য হয় । কেবল দুঃখু ভোগ করবার জন্যেই বিধাতা নারীদের সৃজন করেচেন । প্রমী । তাতো বটেই ; সে কথাতে মিথ্যে নয় । পতি প্রাণী নারীদের পতিবিচ্ছেদের যাতন বড়ই কঠিন । কিন্তু ক্ষণপ্রভার কষ্টের আর এক কথা আছে । তার শিশুপুত্র ছেড়ে এসেচে । লীলা । এখন এর উপায় কি ? অামি দম নিককে ডেকেচি, সে অস্েেচ । প্রমী । দমনিকা কি করবে ? সেটার মুখে রস্কস নেই,— বললেই যেন খেতে এসে । সে ভূতভবিষ্যত্ সব জানে বটে ; যদি মনে করে তবে এখনি বলতে পারে যে কত দিনে ক্ষণ প্রভার স্বামীর সহিত পুনর্বার মিলন হবে—— (দমনিকার প্রবেশ । ) এস এস ! - দিদিমণি এস ; আমি ও তোমাকে ডাকতে যাচছিলেম । এসেচ ভাল হয়েচে । দম । কেন ? এত ডাকাডাকি কেন । আজ বুঝি কিছু আপনাদের কাজ পড়েচে । কথা কি ? প্রমী । বসে বসে। ! দিদি ঠাকৰুণ, একটা কথা বলচি । দম । নে অণর অাদরে কাজ নেই । অামার এখন কথা শোম্বার সময় নয়, ওদিকে ক্ষণপ্রভা শয্যাধারণ শুয়ে রয়েচে, এদিকে তোদের আমোদ বাড় চে । কাৰু সৰ্ব্বনাশ, কাৰু পৌষমাস । আহা ! ক্ষণপ্রভার মত সরলা মেয়ে বুঝি আর হয়না, কিন্তু তারি কপালে যত দুঃখু —উল্‌টো বিধি ! প্রমী । কি, আমরা কষ্ট পেলে তুই সুখী হোতিস্থ নকি ?