পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা মনে হয় কি একটা শেষ কথা আছে, যে কথা হইলে বলা সব বলা হয় । কল্পনা কাদিয়া ফেরে তারি পাছে পাছে, তারি তরে চেয়ে আছে সমস্ত হৃদয় । শত গান উঠিতেছে তারি অন্বেষণে ; পার্থীর মতন ধাঘ চরাচরময় । শত গান, মরে গিয়ে, নূতন জীবনে একটি কথায় চাহে হইতে বিলয় । সে কথা হইলে বলা নীরব বঁাশরী, আর বাজাব না বীণা চিরদিন তরে, সে কথা শুনিতে সবে রবে আশা করি মানব এখনো তাই ফিরিছে না ঘরে । সে কথায় আপনারে পাইব জানিতে, আপনি কৃতার্থ হব আপন বাণীতে । জন্ম থেকেই কবি অতুল রাজসম্পদের অধিকারী হয়ে জন্মেছিলেন, তাই গোড়া থেকেই আমরা দেখতে পাই যে স্বভাবের সঙ্গে তার মিলন অব্যাহত । বাতাস, আকাশ, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, তারা বাহিরের জগৎ, সমস্ত জিনিষের সঙ্গে এমন এক নিবিড় গ্রন্থিতে তিনি বদ্ধ ছিলেন এবং তাদের প্রতি স্পর্শে র্তার হৃদয় এমন করে নেচে উঠত যে তাকে র্তার অন্তরের অন্তঃপুরের মধ্যে তিনি চেপে রাখতে পারতেন না। তারা আপনা থেকেই উচ্ছল হয়ে উঠে তাকে ছাপিয়ে উঠত। আনন্দামুভবের উদাম শক্তিই তাকে কাব্য রচনায় নিয়োজিত করেছিল। জগতের সঙ্গে মামুষের গভীর প্রেমই র্তার কাব্যশক্তির মূল। মরিতে চাহিনী আমি স্বন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বঁাচিবারে চাই। প্রতিদিনের