পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ রবি-দীপিতা জলের ধৰ্ম্ম, আগুনের আগুনত্বই হচ্ছে আগুনের ধৰ্ম্ম, তেমনি মামুষের ধৰ্ম্মট হচ্ছে অন্তরতম সত্য । মামুষের প্রত্যেকের মধ্যে সত্যের একটা বিশ্বরূপ আছে । আবার সেই সঙ্গে তাহার একটি বিশেষ রূপ আছে । সেটাই হচ্ছে তার বিশেষ ধৰ্ম্ম । সেইখানেই সে ব্যক্তি সংসারের বিচিত্রত রক্ষা করছে, স্বষ্টির পক্ষে এই বিচিত্রতা বহুমূল্য সামগ্রী। এইজন্য সম্পূর্ণ বিনষ্ট করবার শক্তি আমাদের হাতে নাই। আমি সাম্য-নীতিকে যতই মানি না কেন, তবু অন্ত সকলের চেয়ে আমার চেহারার বৈষম্যকে কোনমতেই লুপ্ত করতে পারি না । তেমনি সাম্প্রদায়িক সাধারণ নাম গ্রহণ করে আমি যতই মনে করি না কেন যে আমি সম্প্রদায়ের সকলের সঙ্গে সমান ধৰ্ম্মের, তবু আমার অন্তৰ্য্যামী জানেন মনুত্বের মূলে আমার ধৰ্ম্মের একটি বিশিষ্টতা বিরাজ করছে । সেই বিশিষ্টতাতে আমার অন্তৰ্য্যামীর বিশেষ আনন্দ । - যখন কোন অংশকে বাদ দিয়ে তবে সত্যকে সত্য বলি তখন তাকে অস্বীকার করি । সত্যের লক্ষণই এই যে সমস্তই তাহার মধ্যে মেলে । সেই মেলার মধ্যে আপাততঃ যতই অসামঞ্জস্য প্রতীয়মান হোক তার মূলে একটা গভীর সামঞ্জস্য আছে ; নৈলে সে আপনাকে আপনি হনন ক’রত. তাই সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা করে পৃথিবীটি বস্তুত: যেমন—অর্থাৎ নানা অসমান অংশে বিভক্ত তাকে তেমনি করেই জানবার সাহস থাক চাই। ছাট দেওয়া সত্য এবং মনগড়া সামঞ্জস্যের প্রতি আমার লোভ নাই। আমার লোভ আরও বেশী তাই আমি সামঞ্জস্যকেও ভয় করি না । বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে নিজের প্রকৃতির মিলটা অনুভব করা সহজ, কেননা সেদিক থেকে কোন চিত্ত আমাদের চিত্তকে বাধা দেয় না । কিন্তু এই মিলটাতেই আমাদের তৃপ্তির সম্পূর্ণত কখনই ঘটতে পারে না, কেন না আমাদের চিত্ত আছে, সেও আপনার একটি বড় মিল চায়। এই মিলটা বিশ্বপ্রকৃতির ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। বিশ্বমানবের ক্ষেত্রেই সম্ভব । সেইখানে আপনাকে ব্যাপ্ত করে আপনার বড় আমির সঙ্গে আমরা মিলতে