পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা Wවිද්) চাই। সেইখানে আমরা আমাদের বড় মিতাকে, সখাকে, স্বামীকে, কৰ্ম্মের নেতাকে, পথের চালককে চাই । সেইখানে কেবল আমি আমার ছোট আমিকে নিয়েই যখন চলি, তখন মহুযুত্ব পীড়িত হয় ; তখন মৃত্যু ভয় দেখায় ; ক্ষতি বিমর্ষ করে, তখন বৰ্ত্তমান ভবিষ্যৎকে হনন করতে থাকে। দুঃখশোক এমন প্রকাগু হয়ে ওঠে যে তাকে অতিক্রম করে কোথাও সাত্ত্বনা দেখতে পাই না, তখন প্রাণপণে কেবলই সঞ্চয় করি ত্যাগ করবার কোন অর্থ দেখি না । ছোট ছোট ঈর্ষা দ্বেষে মন জর্জরিত হয়ে ওঠে।” রবীন্দ্রনাথ তাহার “সোনার তরীর” “বিশ্বনৃত্য” কবিতাটিতে দেখাইয়াছেন যে বিশ্ব-মানবের ইতিহাসকে একজন চিন্ময় পুরুষ সমস্ত বাধাবিঘ্ন ভেদ করিয়া অনন্তের পথে চালাইয়াছেন । “নৈবেদ্যে” রবীন্দ্রনাথের কাছে আর একটি সত্য প্রতিভাত হইতে দেখা যায়। সেটা হইতেছে এই ষে একটি চিন্ময় পুরুষ আমাদিগকে বাধাবিল্পের মধ্য দিয়া একটা পরম শাস্তির অমৃত রাজ্যে নিয়া চলিয়াছেন । এই তথ্যটি আমাদের স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিত্বের অভিব্যক্তির পক্ষে চরম নহে। কাহারও হাতে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ছাড়িয়া দিয়া বিশ্রাম লইলে আমাদেব ব্যক্তিগত জীবনের সংগ্রামের মর্য্যাদা কোথায় ? তাই নৈবেদ্যে কবি বলিয়াছেন, “আঘাত সত্তঘাত মাঝে দাডাইকু আসি অঙ্গদ কুণ্ডলকন্ঠ অলঙ্কার রাশি খুলিয়া ফেলেছি দূরে।--- ভাবের ললিত ক্রোড়ে না রাখি নিলীন কৰ্ম্মক্ষেত্রে করি দাও সক্ষম স্বাধীন।” —চিত্রাতে আবার ‘এবার ফিরাও মোরে” এই কবিতাটিতে বলিতেছেন, “.....শুধু জানি, যে শুনেছে কানে তাহার আহবান গীত ছুটেছে সে নির্ভীক পরাণে সঙ্কট আবর্তমাঝে, দিয়াছে সে বিশ্ব বিসর্জন,