পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা ఆు কোথা তাদের বইবে থলি-থালি কোথা বা সংসার ? দেহ যাত্রা মেঘের খেয়া বাওযl, মন তাহদের ঘূর্ণ-পাকের হাওয়া ; বেঁকে বেঁকে আকার একে এ কে চলচে নিরাকার ।” কবি কিন্তু তাহার এই চলার খুসাঁতেই মসগুল । তাহার বিশ্বাস যে, যাহাদিগকে আমরা এই জীবন-সন্ধ্যায় ছাড়িয়া চলিয়া যাইব, আমার বিরহে যাহারা কাদিয়া আকুল হইবে, তাহারাই যে আমব সব, তাহা নহে। মৃত্যুর মধ্য দিয়া যাহাদের কাছে পৌছিব, তাহারাও আমাদের জন্য প্রেমের আবেগে পূর্ণ হইয়া রহিয়াছে । “বধুর দিঠি মধুর হয়ে আছে সেই অজানার দেশে । প্রাণের ঢেউ সে এমনি করেই নাচে এমনি ভালবেসে । সেখানেতে আবার সে কোন দূরে আলোর রাশি বাজবে গো এই স্বরে কোন মুখেতে সেই অচেনা ফুল ফুটবে আবার হেসে ।” এ পর্য্যন্ত মনে হয় যে রবীন্দ্রনাথ বোধ হয় কোন জাতীয় পরলোকে বিশ্বাস করেন ; অর্থাৎ এই লোকে জীবনান্ত হইলে আমরা গিয়া এই লোকের মত অন্ত কোনও লোকাস্তরে এই পৃথিবীরই অনুরূপ দুঃখস্থখের খেলা খেলিব। এ পৃথিবীতে না হইয়া কোনও লোকান্তরে যেন আমরা জন্মগ্রহণ করিব, এই বিশ্বাসটি আরও ঘনাইয়া আসে যখন আমরা পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোকটির ঠিক পূর্বের শ্লোকটি দেখি ।