পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ• রবি-দীপিত সেই শ্লোকে রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন, “এই জনমের এই রূপের এই খেলা এবার করি শেষ ; সন্ধ্যা হল ফুরিয়ে এল বেলা, বদল করি বেশ ।” কেহ হয়তো মনে করিতে পারেন যে ইহা “বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্লাতি নরোহপরাণি তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণানি অন্যানি সংযাতি নবানি দেই ।” এই শ্লোকেরই অনুরণন । শা-জাহান কবিতাতেও কবি বলিয়াছেন যে, মহারাজ শা-জাহান এই জীবনের ভোগপাত্র ঠেলিয়া ফেলিয়া তাহার জীবনের স্বচ্ছন্দ গতিতে কোন প্রভাতের সিংহদ্বারের উদ্দেশে চলিয়া গিয়াছেন । কিন্তু এই ব্যাখ্যা রবীন্দ্রনাথের কাব্যের মৰ্ম্মস্থলে খুজিয়া পাওয়া যায় না, এই কবিতাটর পরের শ্লোক দুইটি পড়িলেও এই সন্দেহ দূর হয়। “বঁধুর দিঠি মধুর হয়ে আছে” এই শ্লোকটির পরের শ্লোকটিতে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন যে, এই জীবনে যে বীণাখনিতে সঙ্গীত অভ্যাস করিয়াছিলেন, তিনি জানেন সেই বীণাখানিকে এখানেই ফেলিয়া যাইতে হইবে ; কিন্তু সেই বীণায় যে গান তিনি অভ্যাস করিয়াছিলেন, যাইবার সময় তাহাকে হৃদয়ের মধ্যে ভরিয়া লইয়া যাইবেন— “কিন্তু ওরে হিয়ার মধ্যে ভরে’ নেব যে তা’র গান ৷” তাহার পরের শ্লোকেই দেখি, “সে গান আমি শোনাব যার কাছে নূতন আলোর তীরে,