ইহার পরেই ‘প্রভাতসংগীত’। কিন্তু তাহার সঙ্গে এ ভাবের সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ‘প্রভাতসংগীতে’ বিশ্বপ্রকৃতির আনন্দকে যেন হঠাৎ ফিরিয়া পাইলেন।
আপন জগতে আপনি আছিস
একটি রোগের মতো—
সেই অসুস্থ অবসাদের ভাব একেবারে কাটিয়া গেল। নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ হইল এবং সে অন্ধকার হৃদয়গুহা ভেদ করিয়া বাহির হইল।
বহুদিন পরে একটি কিরণ
গুহায় দিয়েছে দেখা,
পড়েছে আমার আঁধার সলিলে
একটি কনকরেখা।
প্রাণের আবেগ রাখিতে নারি,
থর থর করি কাঁপিছে বারি,
টলমল জল করে থল থল,
কল কল করি ধরিছে তান।
‘সন্ধ্যাসংগীত’ হইতে অকস্মাৎ এরূপ ভাবব্যতিক্রমের একটু বিশেষ ইতিহাস আছে। সেটি দিলেই আপনারা বুঝিতে পারিবেন, আমি প্রবন্ধের গোড়াতে যে বলিয়াছি বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে অন্তরতম যোগের অনুভূতি কবির কাব্যের মূল সুর, তাহার সত্যতা কোথায়।
কবির ভাষাতেই সে ইতিহাসটি দিই:
‘সদর স্ট্রীটের রাস্তাটার পূর্ব প্রান্তে বোধ করি ফ্রী স্কুলের বাগানের গাছ দেখা যায়। একদিন সকালে বারান্দায় দাঁড়াইয়া এই গাছগুলির পল্লবান্তরাল হইতে যেমনি আমি সূর্যোদয় দেখিলাম অমনি আমার চোখের উপর হইতে যেন পর্দা উঠিয়া গেল। একটি অপরূপ মহিমায়
৩১