পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে ఇవ পাড়ে পাড়ে ওঁকে জড়িয়ে জড়িয়ে রয়েছে। এই আগুনই তো চাই—এই প্রত্যক্ষ আগুন । মক্ষীরানী, আমার এই একটি অনুরোধ রাখবেন, আর-একদিন তেমনি অগ্নিশিখ। সেজে আমাদের দেখা দেবেন। এতদিন আমি ছিলুম গ্রামের একটি ছোটে। নদী—তখন ছিল আমার এক ছন্দ, এক ভাষা–কিন্তু কখন একদিন কোনো খবর না দিয়ে সমুদ্রের বান ডেকে গেল— আমার বুক ফুলে উঠল, আমার কুল ছাপিয়ে গেল, সমুদ্রের ডমরুর তালে তালে আমার স্রোতের কলতান আপনি বেজে বেজে উঠতে লাগল ; আমি আপনার রক্তের ভিতরকার সেই ধ্বনির ঠিক অর্থটা তে কিছুই বুঝতে পারলুম না। সে আমি কোথায় গেল ? হঠাৎ আমার মধ্যে রূপের ঢেউ কোথা থেকে এমন করে ফেনিয়ে এল ? সন্দীপবাবুর দুই অতৃপ্ত চোখ আমার সৌন্দর্ষের দিকে যেন পূজার প্রদীপের মতো জলে' উঠল । রূপেতে শক্তিতে আমি যে আশ্চর্ষ, সে-কথা সন্দীপবাবুর সমস্ত চাওয়ায় ক ওয়ায় মন্দিরের র্কাসর-ঘণ্টার মতো আকাশ ফাটিয়ে বাজতে লাগল। সেদিন তাতেই পৃথিবীর অপ্ত সমস্ত আওয়াজ ঢেকে দিলে। আমাকে কি বিধাতা আজ একেবারে নতুন করে স্বষ্টি করলেন ? তার এতদিনকার অনাদরের শোধ দিয়ে দিলেন ? যে মুনারী ছিল না সে সুন্দরী হয়ে উঠল । যে ছিল সামান্ত সে নিজের মধ্যে সমস্ত বাংলাদেশের গৌরবকে প্রত্যক্ষ অনুভব করলে । সম্বীপবাবু তো কেবল একটিমাত্র মানুষ নন—তিনি যে একলাই দেশের লক্ষ লক্ষ চিত্তধারার মোহানার মতো । তাই, তিনি যখন আমাকে বললেন, মউচাকের মক্ষীরানী, তখন সেদিনকার সমস্ত দেশসেবকদের স্তব গুঞ্জনধ্বনিতে আমার অভিষেক হয়ে গেল । এর পরে আমাদের ঘরের কোণে আমার বড়ে জায়ের নি:শব্দ অবজ্ঞ, আর আমার মেজো জায়ের সশব্দ পরিহাস আমাকে স্পর্শ করতেই পারলে না । সমস্ত জগতের সঙ্গে আমার সম্বন্ধের পরিবর্তন হয়ে গেছে। সমীপবাবু আমাকে বুঝিয়ে দিলেন আমাকে যেন সমস্ত দেশের ভারি দরকার । সেদিন সে-কথা আমার বিশ্বাস করতে বাধে নি। আমি পারি, সমস্তই পারি, আমার মধ্যে একটা দিব্যশক্তি এসেছে—সে এমন একটা কিছু, যাকে ইতিপূর্বে আমি অনুভব করি নি, যা আমার অতীত। আমার অন্তরের মধ্যে এই ষে একটা বিপুল আবেগ श्ठेॉ९ ७ल, ७ छिनिनप्ले की, cन निरञ्च अभिांब्र धरन ८कांzनां विषा eठेवांद्र नभइ हिण না ;–এ যেন আমারই, অথচ এ ধেন আমার নয়, এ যেন আমার বাইরেকার, এ যেন সমস্ত দেশের। এ যেন ৰানের জল, এর জন্তে কোনো খিড়কির পুকুরের छयोदनिश् ि८नहे ।