পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाष्ट्रि७] H8> জগতের এই অবজ্ঞা আঘাত করিতে থাকে । তখন সে নিজের শোকের প্রবলতার বারা এই ক্ষতির প্রাচুর্যকে বিশ্বের কাছে ঘোষণা করিয়া তাহার পুত্রকে যেন গৌরবান্বিত করিতে চায় । যে-অংশে শোক নিজের, সে-অংশে তাহার একটি স্বাভাবিক সংযম থাকে, যেঅংশে তাহা পরের কাছে ঘোষণা, তাহা অনেক সময়েই সংগতির সীমা লঙ্ঘন করে। পরের অসাড়চিত্তকে নিজের শোকের দ্বারা বিচলিত করিবার স্বাভাবিক ইচ্ছায় তাহার ८5ठे च्ष बांडोंबैिक ऍछछभ श्रवणशन क८ब्र । কেবল শোক নহে, আমাদের অধিকাংশ হৃদয়ভাবেরই এই দুইট দিকই আছে, একটা নিজের জন্ত, একট। পরের জন্য । আমার হৃদয়ভাবকে সাধারণের হৃদয়ভাব করিতে পারিলে তাহার একটা সাত্বনা একটা গৌরব আছে। আমি যাহাতে বিচলিত, তুমি উহাতে উদাসীন, ইহা আমাদের কাছে ভালো লাগে না। কারণ, নানা লোকের কাছে প্রমাণিত না হইলে সত্যতার প্রতিষ্ঠা হয় না। আমিই যদি আকাশকে হলদে দেখি, আর দশজনে না দেখে, তবে তাহাতে আমার ব্যাধিই সপ্রমাণ হয়। সেটা আমারই দুর্বলতা। আমার হৃদয়বেদনায় পৃথিবীর যত বেশি লোক সমবেদন অনুভব করিবে, ততই তাহার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হইবে । আমি হাহা একান্তভাবে অনুভব করিতেছি, তাহা যে আমার দুর্বলতা আমার ব্যাধি আমার পাগলামি নহে, তাহা যে সত্য, তাহ সর্বসাধারণের হৃদয়ের মধ্যে প্রমাণিত করিয়া আমি বিশেষভাবে সাস্তুনা ও সুখ পাই । যাহা নীল, তাহা দশজনের কাছে নীল বলিয়। প্রচার করা কঠিন নহে, কিন্তু যাহা আমার কাছে স্থখ বা দুঃখ, প্রিয় বা অপ্রিয়, তাহা দশজনের কাছে মুখ বা দুঃখ, প্রিয় বা অপ্রিয় বলিয়া প্রতীত করা দুরূহ। সে-অবস্থায় নিজের ভাবকে কেবলমাত্র প্রকাশ করিয়াই খালাস পাওয়া যায় না ; নিজের ভাবকে এমন করিয়া প্রকাশ করিতে হয়, যাহাতে পরের কাছেও তাহা যথার্থ বলিয়া অনুভূত হইতে পারে। সুতরাং এইখানেই বাড়াবাড়ি হইবার সম্ভাবনা । দূর হইতে ষে-জিনিসটা দেখাইতে হয়, তাহ। কতকট। বড়ো করিয়া দেখানে আবশুক । সেটুকু বড়ো সত্যের অম্বরোধেই করিতে হয় । নহিলে জিনিসটা ষে-পরিমাণে ছোটো দেখায়, সেই পরিমাণেই মিথ্যা দেখায় । বড়ো করিয়াই তাহাকে সত্য করিতে হয়। আমার স্থখন্থঃখ আমার কাছে অব্যবহিত, তোমার কাছে তাহ অব্যবহিত নয়। আমি হইতে তুমি দূরে আছ। সেই দূরত্বটুকু হিসাব করিয়া আমার কথা তোমার কাছে কিছু বড়ো করিয়াই বলিতে হয় ।