পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য & e& কবি তো বলিয়াছেন যে, মহাবৃক্ষের সেবা করিলে ফল যদি বা না পাওয়া যায়, ছায়াটা পাওয়া যাইবেই। কিন্তু ওইটুকু নেহাতপক্ষের আশা লইয়াই আমরা সন্তুষ্ট হইতে পারিব না—আমরা এই কথাই বলিব, আচ্ছা, আজ যদি বা শুধু ছায়াই জুটিল, নিশ্চয়ই কাল ছায়াও পাইব, ফলও ধরিবে ; কোনোটা বাদ দিব না। সফলতা সম্বন্ধে আধা-আধি রফানিস্পত্তি করা কোনোমতেই চলিবে না । বহরমপুরের ডাকে আজ আমরা সাহিত্য-পরিষদ অত্যন্ত লোভ করিয়াই এখানে আসিয়া জুটিয়াছি— শুধু আহার দিয়া বিদায় করিলে নিন্দার বিষয় হইবে—দক্ষিণ চাই । সেই দক্ষিণার প্রস্তাবটাই আজ আপনাদের কাছে পাড়িব । অামার দেশকে আমি যত ভালোবাসি, তার দশগুণ বেশি ভালোবাসা ইংরেজের কর্তব্য, এ-কথা আমরা মুখে বলি না, আমাদের ব্যবহারে তাহাই প্রকাশ পায় । এইজন্ত ভারতবর্ষের হিতসাধনে বিদেশীর যত-কিছু ক্রটি, তাহা ঘোষণা করিয়া আমাদের শ্রাস্তি হয় না, আর দেশীলোকের যে ঔদাসীন্ত, সে-সম্বন্ধে আমরা একেবারেই চুপ। কিন্তু এ-কথাটার আলোচনা বিস্তর হইয়া গেছে, এমন কি, আমার আশঙ্কা হয়, কথাটা আপনার অধিকারের মর্যাদা লঙ্ঘন করিয়া ছুটিয়াছে বা। কথা-জিনিসটার দোষই ওই,—সেটা হাওয়ার জিনিস কিনা, তাই উক্তি দেখিতে দেখিতে অত্যুক্তি হইয়া উঠে। এখন যেন আমরা একটু বেশি তারস্বরে বলিতেছি, ইংরেজের কাছ হইতে আমরা কিছুই লইব না। কেন লইব না ? দেশের হিতের জন্ত যেখানে বাহ পারি, সমস্ত আদায় করিব। কেবল এইটুকু পণ করিব, সেই লওয়ার পরিবর্তে নিজেকে বিকাইয়া দিব না। যাহা বিশেষভাবে ইংরেজ গবর্নমেন্টের কাছ হইতেই পাইবার, তাহ ষোলাজানাই সেইখান হইতেই আদায় করিবার পুরা চেষ্টাই করিতে হইবে-না করিলে সে তো নিতান্তই ঠকা । নিবুদ্ধিতাই বীরত্ব নহে। কিন্তু এই আদায় করিবার কোনো জোর থাকে না,—আমরা যদি নিজের দায় নিজে স্বীকার না করি। দেশের যে-সকল কাজ আমরা নিজে করিতে পারি, তাহা নিজেরা সাধ্যমতো করিলে তবেই আদায় করাট। যথার্থ আদায় করা হয়, डिक कब्र झञ्च ना । ५ नश्प्लि चट्छद्र कां८छ् नॉदि कब्रांब्र चांदङ्गट्टे थां८क मां । কিছুকাল হইতে আমাদের সেই আবক্ষ একেবারে ঘুচিয়া গিয়াছিল—সেইজগুই লজাবোধটাকে এত জোর করিয়া জাগাইবার একটা একান্ত চেষ্টা চলিতেছে। সকলেই জানেন, জামেকায় ভূমিকম্পের উৎপাতের পর সেখানকার কিংস্টন শহরে ভারি একটা সংকট উপস্থিত হইয়াছিল। সেই সংকটের সময় আমেরিকার