পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€२० রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রত্যক্ষ করা, ইহাকেই তো আমি মুক্তির সাধনা বলি। জগতের মধ্যে আমি মুগ্ধ, সেই মোহেই আমার মুক্তিরসের আস্বাদন। Ç বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি, সে আমার নয়। অসংখ্যবন্ধনমাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ ।” নৈবেষ্ঠের অনেকগুলি কবিতা গানরূপে ব্যবহৃত হইবার সময় সেগুলির অনেক পাঠ-পরিবতন হইয়াছে। স্মরণ ১৩০৯ সালে ৭ই আগ্রহায়ণ রবীন্দনাথের সহধর্মিণী পরলোকগমন করেন । র্তাহার স্মৃতির উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ যে-কবিতাগুলি রচনা করেন সেগুলি মোহিতচন্দ্র সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থাবলীতে ( ১৩১০ ) প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়—অধিকাংশ “স্মরণ” বিভাগে, এবং বর্তমান স্মরণ গ্রন্থের প্রথম তিনটি “মরণ” বিভাগে । পরে এই কবিতাগুলি একত্র করিয়া স্মরণ স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থাবলীর “মরণ” বিভাগ হইতে নিম্নমূদ্রিত কবিতাটি এখানে উদ্ধারযোগ্য : সবাই যাহারে ভালোবেসেছিল তারে তুমি কোল দিলে— কারো ভালোবাসা পায়নি যে-জন তুমি তারে পরশিলে । ইহসংসারে ভিখারির মতে বঞ্চিত ছিল ঘে-জন সতত করুণ হাতের মরণে তাহারে বরণ করিয়া নিলে । শিরে দিলে তার শীতল হস্ত ঘুচিল সকল জালা। তাপিত বক্ষে পরালে তাহার জীবন-জুড়ানো মালা । রাজা মহারাজ ঘেথা ছিল যারা নদী গিরি বন রবি শশী তারা, ' সকলের সাথে সমান করিয়া নিলে তারে এ নিখিলে । ്