পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচয় G DØ: পরিষৎ এই উপলক্ষে ৰঙ্গের বাবতীয় জ্ঞাতব্য তথ্যের আলোচনা করিবেন, এই মাত্র প্রভেদ ছিল । তৎপরে এই প্রস্তাব পরিষদে আলোচিত হয় ও কর্মের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিষৎ এ বিষয়ে সাবধানে অগ্রসর হইতেছিলেন । “বৎসরের শেষভাগে রংপুরের শাখা-পরিষদের সংস্থাপক ও সম্পাদক ঐযুক্ত স্বরেন্দ্রচন্দ্র রায় চৌধুরী মহাশয় শাখা-সভার বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে পরিষৎকে নিমন্ত্রণ করেন।•••এই স্বযোগে রবীন্দ্রবাবুর প্রস্তাব কার্ধে পরিণত হইবে বুঝিয়া পরিষৎ কর্তব্যনিরূপণের পরামর্শ করিতেছিলেন, এমন সময়ে--- ঐযুক্ত দেবকুমার রায়চৌধুরী বরিশালবাসীর পক্ষ হইতে সাহিত্য-পরিষৎকে সাহিত্য-সম্মিলনে উপস্থিত হইবার জন্ত নিমন্ত্ৰণ করিয়া পাঠাইলেন । ১লা ও ২রা বৈশাখ ( ১৩১৩ ) বরিশালে বঙ্গের প্রাদেশিক সমিতি ( Bengal Provincial Conference ) <fratw swl fèa I---& wcatsi বুঝিয়া ওই সময়েই বরিশালবাসীরা সাহিত্য-সম্মিলন প্রস্তাব করেন ।•••৩রা বৈশাখ তারিখে এই সম্মিলনের দিন স্থির হয় । বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের অন্যতম সহকারী সভাপতি শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই সভাপতির আসন দিবার প্রস্তাব হইয়াছিল । এই সাহিত্য-সম্মিলনের সহিত রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকিবে না, ইহাও বিজ্ঞাপিত হইয়াছিল। বরিশালের এই নিমন্ত্রণ পরিষৎ সাদরে গ্রহণ করেন তৎপরে যাহা ঘটিয়াছে, তাহ ঐতিহাসিক ঘটনা হইয়া দাড়াইয়াছে।-- ১লা বৈশাখ তারিখে প্রাদেশিক সমিতির সভ্যগণ পুলিশের হস্তে নিগৃহীত হন এবং ২রা বৈশাখ ম্যাজিস্টেটের আদেশে পুলিশকর্তৃক প্রাদেশিক সমিতির অধিবেশন ভাঙিয়া দেওয়া হয় । ষে মণ্ডপে প্রাদেশিক সমিতি বসিয়াছিল, সেই মগুপেই ওরা বৈশাখ সাহিত্য-সম্মিলন বসিবে, এইরূপ নিধারিত ছিল । ম্যাজিস্টেটের আদেশ হইল যে, ওই মণ্ডপে বা বরিশালের অন্তত্র কোনো সভা হইতে পারিবে না. ৷ অন্তান্ত কার্ষের মধ্যে বন্দেমাতরম্ উচ্চারণ “গোলমালজনক কার্ধের" মধ্যে গণ্য হইবে এইরূপ বুঝা গিয়াছিল। বন্দেমাতরম্ উচ্চারণের সহিত রাজনীতিরই সম্পর্ক আছে, সাহিত্যচর্চার কোনো সম্পর্ক নাই, ইহা স্বীকার করিতে কোনো সাহিত্য-সেবীই সন্মত হইলেন না ।••• পরম্পরায় শুনা গিয়াছিল, রাজপুরুষেরা স্থানীয় রাজকর্মচারীদিগকে ও রাজকীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগকে সাহিত্য-সম্মিলনে উপস্থিত হইতে নিষেধ আজ্ঞা প্রচার করিয়াছেন। ২রা বৈশাখ সন্ধ্যার পর রবীন্দ্রনাথ স্থানীয় ও নিমজিত