পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tee - রবীন্দ্র-রচনাবলী সাহিত্য-সেবীদের সহিত পরামর্শ করিলেন । অতঃপর বরিশালে আর সাহিত্যসম্মিলন হওয়া সম্ভবপর নহে—বহু বিবেচনার পর ইহাই স্থির হইল। বরিশালবাসীরা ক্ষুঞ্জমনে ও ভগ্নহৃদয়ে সমবেত প্রতিনিধিগণকে বিদায় দিতে বাধ্য হইলেন । এইরূপে সাহিত্য-সম্মিলনের প্রথম অভিনয়ে সূত্ৰধার প্রবেশের পূর্বেই যবনিকা পাত ঘটল । ---১৩১৩ সালে বহরমপুরে প্রাদেশিক রাজনৈতিক অধিবেশনের সময় সাহিত্য-সম্মিলনের পুনরার উদ্যোগ হইয়াছিল।...মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর এই সম্মিলনের প্রধান উদ্যোগকারী ছিলেন। অকস্মাৎ তাহার পুত্রবিয়োগে বহরমপুরের অভ্যর্থনা সমিতি ও বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ একযোগে সাহিত্য-সম্মিলন আপাতত স্থগিত রাখা উচিত বিবেচনা করেন। •• বঙ্গীয়-সাহিত্য-সম্মিলনের প্রথম অধিবেশন হয় মুর্শিদাবাদে, ১৩১৪ সালের কাতিক মাসে । ১৪শ বার্ষিক বিবরণ হইতে এই সম্মিলনের বিবরণ কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করা হইল । তামাপূজার অব্যবহিত পূর্বে ১৭ই এবং ১৮ই কাতিক দুই দিনে সম্মিলনের অধিবেশন ধার্য হয় ।--- শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বঙ্গীয়-সাহিত্য-সম্মিলনের এই প্রথম অধিবেশনে সভাপতির আসন অলংকৃত করিয়াছিলেন, ইহা সর্বতোভাবে সংগতই হইয়াছিল । রবীন্দ্রবাবুই প্রথমে এইরূপ সাহিত্য-সম্মিলনের আবশুকতা পরিষদের সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছিলেন । র্তাহারই নেতৃত্বে সাহিত্য-সম্মিলন যে স্বপথে চালিত হইয়াছে, তাহা বলা আবশ্বক । V“সাহিত্য-পরিষৎ প্রবন্ধ এবং পরিষদের কর্তব্য ও কর্মক্ষেত্র প্রসঙ্গে বদীয়সাহিত্য-পরিষদের একাদশ সাংবৎসরিক কার্যবিবরণীর নিম্নলিখিত অংশ উদ্ধৃত করা যাইতে পারে : পরিষদের কর্মক্ষেত্রের পরিধিবিস্তার –এই বৎসর পরিষদের জীবনে নূতন পরিচ্ছেদের আরম্ভ হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের প্রস্তাবক্রমে পরিষৎ বিস্তৃততর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে প্রস্তুত হইয়াছেন । এতদিন পরিষদের কার্য মুখ্যত ভাষাতত্ত্ব ও সাহিত্যতত্বের আলোচনায় আবদ্ধ ছিল । সম্প্রতি বঙ্গদেশের পুরাতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ভৌগোলিকতত্ব প্রভৃতিও যাহাতে পরিষদের আলোচ্য হয়, তজন্ত চেষ্টার আরম্ভ হইয়াছে।•••