পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 So রবীন্দ্র-রচনাবলী পুরানো হাসি পুরানো সুধা মিটায় মম পুরানো ক্ষুধা, নূতন কোনো চকোর যেন পায় না পরসাদ । [পুরবালার প্রস্থান শৈলবালাকে আশ্বাস দিয়া ভয় নেই । রাগটা হয়ে গেলেই মনটা পরিষ্কার হবে- একটু অনুতাপও হবে- সেইটেই সুযোগের সময় । রসিক - কোপো যত্র ভুকুটিরচনা নিগ্ৰহাে যত্র মীেনং যাত্রান্যোন্যস্মিতমনুনয়ো যত্র দৃষ্টিঃ প্রসাদাঃ । শৈলবালা । রসিকদাদা, তুমি তো দিব্যি শ্লোক আউড়ে চলেছি- কোপ জিনিসটা কী, তা মুখুজেমশায় dটর পাবেন । রসিক । আরো ভাই, বদল করতে রাজি আছি । মুখুজেমশায় যদি শ্লোক আওড়াতেন। আর আমার উপরেই যদি কোপ পড়ত তা হলে এই পোড়া কপালকে সোনা দিয়ে বঁধিয়ে রাখতুম। শৈলবালা । মুখুজেমশায় । অক্ষয় । (অত্যন্ত ত্ৰস্তভাবে) আবার মুখুজেমশায় ! এই বালখিল্য মুনিদের ধ্যানভঙ্গ ব্যাপারের মধ্যে उाधि 6ाडे । শৈলবালা ৷ ধ্যানভঙ্গ আমরা করব । কেবল মুনিকুমারগুলিকে এই বাড়িতে আন চাই । অক্ষয় । সভাসুদ্ধ এইখানে উৎপাটিত করে আনতে হবে ? যত দুঃসাধ্য কাজ সব এই একটিমাত্র fiG 2 শৈলবালা । (হাসিয়া) মহাবীর হবার ঐ তো মুশকিল। যখন গন্ধমাদনের প্রয়োজন হয়েছিল তখন নল নীল অঙ্গদকে তো কেউ পোছেও নি । অক্ষয় । ওরে পোড়ারমুখী, ত্রেতাযুগের পোড়ারমুখোকে ছাড়া আর কোনো উপমাও তোর মনে উদয় হল না ? এত প্ৰেম ! শৈলবালা । ই গো, এত প্ৰেম ! 만 |- 5R পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে । এত আছে লোক, তবু পোড়া চোখে আর কেহ নাহি লাগে রে । অক্ষয় । আচ্ছা, তাই হবে । পঙ্গপাল কটাকে শিখার কাছে তাড়িয়ে নিয়ে আসিব । তা হলে চট করে আমাকে একটা পান এনে দাও । তোমার স্বহস্তের রচনা । শৈলবালা । কেন, দিদির হস্তেরঅক্ষয় । আরে, দিদির হস্ত তো জোগাড় করেইছি, নইলে পাণিগ্রহণ কী জন্যে । এখন অন্য পদ্মহস্তগুলির প্রতি দৃষ্টি দেবার অবকাশ পাওয়া গেছে। শৈলবালা । আচ্ছা গো মশায় । ‘পদ্মহন্ত তোমার পানে এমনি চুন মাখিয়ে দেবে যে, পোড়ারমুখ। আবার পুড়বে। V53 — গান যারে মরণব্দশায় ধরে সে যে শতবার করে মরে । , পোড়া পতঙ্গ যত পোড়ে তত আগুনে বঁাপিয়ে পড়ে । শৈলবালা । মুখুজেমশায়, ও কাগজের গোলাটা কিসের । অক্ষয়। তোমাদের সেই সভ্য হবার আবেদনপত্র এবং প্রবেশিকার দশ টাকার নোট পকেটে ছিল, ধােবা