পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ԳoԳ চাবার মানুষ নাইকো যখন কেহ, বলে না কেউ লিখন দেহাে দেহাে, তখন দেখি মনের দুয়ার খোলা, यzन-वनों2ों कशन उ9ोंद (9वनों লেখক আসে অভয় অসন্দেহ । হঠাৎ তাহার গোপন যাওয়া আসা কোন গভীরে অজানা তার বাসা । বক্ষে তাহার যে-পুস্পহার দোলে কেউ জানে না কোথায় সে ফুল তোলে, চক্ষে তাহার কোন ইশারার ভাষা । এই কবিতাটির অন্য একটি পাঠ “লিখন” নামে অমিয় চক্রবতীকে লিখিত পত্রের সহিত প্ৰকাশিত হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথ লেখেন : “কখনো কখনো সময়ের একটু আধটু ফাটল দিয়ে বুনোলতার মতো দুই একটা কবিতাও বেরোচে । তারি একটা তোমাকে পাঠাই । একজন মেয়ে লিখতে অনুরোধ করেছিলেন তঁাকে পাঠিয়েছি।” —দ্র চিঠিপত্র ১১, পৃ. ৪৮-৫১ “লক্ষশূন্য” ও “নুতনকাল কবিতাদুটির সূচনাস্বরূপ রবীন্দ্রনাথ যাহা লিখিয়াছেন, যাত্রী* গ্ৰন্থ হইতে তাহা যথাক্রমে অংশতঃ উদধূত হইল : লক্ষশূন্য সিদ্ধি, যাকে ইংরেজিতে বলে সাকসেস, তার বাহন যত দৌড়ে চলে ততই ফল পায় । যুরোপের দেশে বাহ্য প্রয়োজনের গরজ অত্যন্ত বেশি হয়ে উঠল, তাই মনুষ্যত্বের ডাক শুনে কেউ সবুর করতে পারছে না । বীভৎস সর্বভুক। পেটুকতার উদ্যোগে পলিটিকস নিয়ত ব্যস্ত। তার গাঠকটা ব্যবসায়ের পরিধি পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্বকালে যুদ্ধবিগ্রহের পদ্ধতিতে ধর্মবুদ্ধি যেখানে মাঝে মাঝে বাধা খাড়া করে রেখেছিল, ডিপ্লমাসি সেখানে আজ লাফ-মারা hurdle race খেলে চলেছে। সবুর সায় না যে। বিষবায়ুবাণ যুদ্ধের অস্ত্ররূপে যখন এক পক্ষ ব্যবহার করলে তখন অন্য পক্ষ ধর্মবুদ্ধির দোহাই পাড়লে । আজ সকল পক্ষই বিষের সন্ধানে উঠে পড়ে লেগেছে । যুদ্ধকালের নিরস্ত্ৰ পুরবাসীদের প্রতি আকাশ থেকে অগ্নিবাণবর্ষণ নিয়ে প্ৰথমে শোনা গেল ধর্মবুদ্ধির নিন্দবাণী । আজ দেখি ধামিকেরা স্বয়ং সামান্য কারণে পল্লিবাসীদের প্রতি কথায় কথায় পাপবজু সন্ধান করছে। গত যুদ্ধের সময় শক্রির সম্বন্ধে নানা উপায়ে সজ্ঞানে সচেষ্টভাবে সত্যগোপন ও মিথ্যাপ্রচারের শয়তানী অস্ত্ৰ ব্যবহার প্ৰকাণ্ডভাবে চলল। যুদ্ধ থেমেছে কিন্তু সেই শয়তানি আজও থামে নি । এমন-কি, অক্ষম ভারতবর্ষকেও প্রবলের প্রাপাগাল্ডা রেয়াত করে না । এই সব নীতি হচ্ছে সবুর না করা নীতি- এরা হল পাম্পর দ্রুত চাল, এরা প্রতি পদেই বাহিরে জিতছে বটে কিন্তু সে জিত অন্তরের মানুষকে হারিয়ে দিয়ে মানুষ আজ নিজের মাথা থেকে জয়মাল্য খুলে নিয়ে কলের গলায় পরিয়ে দিলে। রসাতল থেকে দানব বলছে ‘বাহবা’ । -oकिभ-शाचीन ७ाशाब्रि । a gश्बूशांत्रि s२२१ ১৫ “যাত্রী' গ্রন্থের অঙ্গীভূত ‘পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’ ও ‘জাভা-যাত্রীর পত্র’- রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘বিশ্বযাত্রী রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থমালার স্বতন্ত্র দুইটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছে।