পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা সব নিয়ে যে দেখল তারে পায় সে দেখা বিশ্বমাঝে ধুলার পরে অলজ্জিত— নইলে সে তো মেঠো পথে নীরব এক শিথিলবেশে অনাদরে অসজ্জিত । ৬ জুন ১৯৩৫ চন্দননগর নাট্যশেষ X দূর অতীতের পানে পশ্চাতে ফিরিয়া চাহিলাম ; হেরিতেছি মাত্রী দলে দলে । জানি সবাকার নাম, চিনি সকলেরে। আজ বুঝিয়াছি, পশ্চিম-আলোতে ছায়া ওরা । নটরূপে এসেছে নেপথ্যলোক হতে দেহ-ছদ্মসাজে ; সংসারের ছায়ানাট্য অন্তহীন, সেথায় আপন পাঠ আবৃত্তি করিয়া রাত্রিদিন কাটাইল ; স্থত্ৰধার অদৃষ্টের আভাসে আদেশে চালাইল নিজ নিজ পালা, কতু কেঁদে কভু হেসে নানা ভঙ্গী নানা ভাবে । শেষে অভিনয় হলে সারা, দেহবেশ ফেলে দিয়ে নেপথ্যে অদৃশ্যে হল হারা। যে খেলা খেলিতে এল হয়তো কোথাও তার আছে নাট্যগত অর্থ কোনোরূপ, বিশ্বমহাকবি-কাছে প্রকাশিত। নটনটী রঙ্গসাজে ছিল যতক্ষণ সত্য বলে জেনেছিল প্রত্যহের হাসি ও ক্ৰন্দন, উত্থানপতন বেদনার । অবশেষে যবনিকা নেমে গেল ; নিবে গেল একে একে প্রদীপের শিখা ; স্নান হল অঙ্গরাগ ; বিচিত্র চাঞ্চলা গেল থেমে ; যে নিস্তন্ধ অন্ধকারে রঙ্গমঞ্চ হতে গেল নেমে