পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অtলমোড়া ר סוטאן • כ রবীন্দ্র-রচনাবলী লাফিয়ে উঠে কেঁদে বললেম, ‘যাব যাব যাব ।” ভাগ্নি বললে, “আমার সঙ্গে সিড়ি বেয়ে নাবে{— কোথায় তোমার খুড়ির বাসা অগস্তকুণ্ডে কি, ঘে ক’রে হোক আজকে রাতেই খুঁজে একবার দেখি ; কালকে মামার হাতে আমার হবেই মুগুপাত ৷”— আমি তো, ভাই বেঁচে গেলেম, ফুরিয়ে গেল রাত ।” হেসে বললেম যোগীনদাদার গভীর মুখ দেখে, ঠিক এমনি গল্প বাবা শুনিয়েছে বই থেকে । দাদা বললেন, “বিধি যদি চুরি করেন নিজে পরের গল্প, জানি নে ভাই, আমি করব কী যে ” প্রেবাসে বিদেশমুখে মন যে আমার কোন বাউলের চেলা, গ্রাম-ছাড়ানো পথের বাতাস সর্বদা দেয় ঠেলা । তাই তো সেদিন ছুটির দিনে টাইমটেবিল প’ড়ে প্রাণটা উঠল নড়ে । বাক্সো নিলেম ভর্তি করে, নিলেম ঝুলি থলে, বাংলাদেশের বাইরে গেলেম গঙ্গাপারে চ’লে । লোকের মুখে গল্প শুনে গোলাপ-খেতের টানে মনটা গেল এক দৌড়ে গাজিপুরের পানে । সামনে চেয়ে চেয়ে দেখি, গম-জোয়ারির খেতে নবীন অঙ্কুরেতে বাতাস কখন হঠাৎ এসে লোহাগ করে যায় হাত বুলিয়ে কাচা শুণমল কোমল কচি গায় । আটচালা ঘর, ভাহিন দিকে সবজি-বাগানখানা শুশ্ৰুষা পায় সারা ছুপুর, জোড়া-বলদটান ।